৬০০-এর বেশি ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে আজ ৬ জিম্মি ছাড়বে হামাস
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস যুদ্ধবিরতির আওতায় সপ্তম দফায় ছয় ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এ মুক্তির বিনিময়ে ৬০২ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস প্রকাশিত তালিকায় রয়েছে এলিয়া কোহেন, ওমের শেম টভ, তাল শোহাম, ওমের ওয়েনকার্ট, হিশাম আল-সায়েদ এবং আভেরা মেঙ্গিস্টোর নাম। এদের মধ্যে মেঙ্গিস্টো ও আল-সায়েদ প্রায় এক দশক আগে গাজায় প্রবেশের পর আটক ছিলেন।
যদিও যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে, তবু ইসরাইল বারবার তা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করছে গাজার কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ১৫ জানুয়ারির চুক্তির পর থেকে ইসরাইল ৩৫০-এর বেশি বার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে। এতে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাদের অনুপ্রবেশ, বিমান ও ড্রোন হামলা, সরাসরি গুলিবর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন।
এছাড়া, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরতে বাধা দেওয়া, আশ্রয় সামগ্রী প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহে বিলম্ব করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা চাপিয়ে দিতে চান না বলে জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই পরিকল্পনা চাপিয়ে না দিয়ে প্রস্তাব আকারে উপস্থাপন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জর্ডান ও মিশর তার পরিকল্পনার বিরোধিতা করায় তিনি বিস্মিত। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়, তাহলে হামাস থাকবে না, উন্নয়ন হবে এবং সবকিছু নতুনভাবে শুরু করা যাবে। গাজা যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পশ্চিম তীরে চলছে ইসরাইলি আগ্রাসন। নাবলুসের দক্ষিণে ইয়াতমা শহরে অভিযান চালিয়ে ইসরাইলি বাহিনী গুলি ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে।
এর আগে, জেনিনে মাত্র ১৩ বছর বয়সী রিমাস আল-আমুরিকে পিঠে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইসরাইলি বাহিনী দাবি করেছে, গত সপ্তাহে তারা পশ্চিম তীরে ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করেছে এবং ১৫টিরও বেশি অস্ত্র জব্দ করেছে।