ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জাতিসংঘের প্রতিবেদন

দেওয়া হল র‍্যাব ও এনটিএমসি বাতিলের সুপারিশ 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 45

ছবি সংগৃহীত

 

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই)-এর কর্মকাণ্ড সীমিত করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।  

১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে জুলাই মাসে সংঘটিত অভ্যুত্থান সংক্রান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্যাতন নিয়ে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে জাতিসংঘের অনুসন্ধান দল জানিয়েছে, ‘জবাবদিহি’ এবং ‘ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠা করতে প্রায় ৫০টি সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, র‍্যাব ও এনটিএমসি নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন করেছে, তাই তাদের বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন তদন্ত পরিচালনার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্য সুপারিশগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে তাদের নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আইনি ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক মন্তব্য করেছেন, সাবেক সরকার জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানকে মোকাবেলা করতে ভয়াবহ নৃশংসতা প্রয়োগ করেছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল, যা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা ধরে রাখার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘের প্রতিবেদন

দেওয়া হল র‍্যাব ও এনটিএমসি বাতিলের সুপারিশ 

আপডেট সময় ০৮:২৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই)-এর কর্মকাণ্ড সীমিত করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।  

১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে জুলাই মাসে সংঘটিত অভ্যুত্থান সংক্রান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্যাতন নিয়ে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে জাতিসংঘের অনুসন্ধান দল জানিয়েছে, ‘জবাবদিহি’ এবং ‘ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠা করতে প্রায় ৫০টি সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, র‍্যাব ও এনটিএমসি নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন করেছে, তাই তাদের বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন তদন্ত পরিচালনার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্য সুপারিশগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে তাদের নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আইনি ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক মন্তব্য করেছেন, সাবেক সরকার জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানকে মোকাবেলা করতে ভয়াবহ নৃশংসতা প্রয়োগ করেছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল, যা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা ধরে রাখার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।