আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, যারা বাংলাদেশপন্থি তাদের মধ্যে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশবিরোধী আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে না।
আজ (শনিবার) দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে ছাত্র-জনতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ যত রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক, নারী, আলেম-ওলামা আছেন—যারা বাংলাদেশপন্থি, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আগামীর শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে বৈষম্যহীন ইনসাফমূলক একটি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবেন।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার রয়েছে খুনিদের বিচার করা, গুম-খুন-ধর্ষণের বিচার করা, সংস্কার করা এবং অবশ্যই বাংলাদেশপন্থি সব রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া। যেটি গত ১৬ বছরে সম্ভব হয়নি।
উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবুব রহমান সাহেব বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশে সব গণতন্ত্র হত্যার অপচেষ্টা করেছিলেন। সেই বাকশাল দৈনিক পত্রিকাগুলো নিষিদ্ধ করেছিল। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে লুণ্ঠিত করেছিল। শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার পর কয়েক হাজার বিরোধীদলীয় নেতৃবৃন্দকে গুম করেছেন। ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ একই স্টাইলে মানুষকে গুম-খুন করেছিলেন। তাই আমরা শেখ হাসিনা-শেখ মুজিবের শাসন আর বাংলাদেশে চাই না। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী নেতৃত্ব আর চাই না। আমরা চাই দেশটা বাংলাদেশপন্থিদের হাতে থাকবে। বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদীদের স্থান হবে না। আমরা চাই বিএনপি-জামায়াতসহ আলেম-ওলামা যারা বাংলাদেশপন্থি দেশের জন্য কাজ করবে।
মাহফুজ আলম বলেন, হাসিনার দীর্ঘ স্বৈরাচারী আমলে বাচ্চাদেরকে গুম করা হয়েছে। মা-বোনদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে। হাজারো জনগণকে পঙ্গু করা হয়েছে। আমরা সব রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন, নারী সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, আলেম মওলানা সবাই মিলে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উৎখাত করেছি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার শাসনামলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কবজা করে মানুষের ওপরে গণহত্যা চালিয়েছে। তার বিচার করা হবে।
এসময় হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপস শীল, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহীউদ্দীন ফারুকসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।