ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুলতানে গ্যাস ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ৬, আহত ৩১ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গ্রিনল্যান্ড কিনতে মরিয়া, গা*জা খালি করার চেষ্টায় ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময়: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কলম্বিয়ায় মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজের অবতরণ ব্যাহত, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি ভ্যালেন্সিয়াকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে গোলবন্যায় বার্সেলোনা চরমোনাই পীরের সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ করবেন মির্জা ফখরুল রোহিঙ্গা সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অঙ্গীকার লণ্ডভণ্ড জাতীয় সংসদ ভবন, পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৩০০ কোটি টাকা ঢাবি ও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০

অর্থনীতি

সুতা আমদানিতে রেকর্ড মাইলফলক, সাত বছরের শীর্ষ রেকর্ড

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ তুলা উৎপাদন করে না, ফলে পণ্যটি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। তুলা আমদানি করে সুতা তৈরি করা হয়, যা মূলত পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তুলা আমদানিও বাড়ে। তবে বর্তমানে দেশে সুতা আমদানির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে, যা দেশীয় স্পিনিং মিলগুলোর জন্য উদ্বেগজনক।

বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে প্রায় ১২ লাখ টন সুতা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। এই সুতার বড় অংশই আসছে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।

স্পিনিং মিলগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিলগুলো তাদের উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ৫০ শতাংশ ব্যবহার করছে। অথচ দুই বছর আগে গ্যাসের দাম ১৫০-১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এতে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো দেশীয় সুতা ব্যবহার করলে যে নগদ সহায়তা পেত, তাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না দেশীয় সুতা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ। এই মিলগুলো নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।

তবে গত বছর পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় তুলা ও সুতার আমদানি বাড়ে। ২০২৩ সালে প্রায় ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। একই বছর ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

দেশীয় স্পিনিং শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি নগদ সহায়তা পুনর্বহাল ও উৎপাদন খরচ কমানোর উদ্যোগ নিলে দেশীয় শিল্প ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশা রাখছেন সংশ্লিষ্টরা ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
৫১১ বার পড়া হয়েছে

অর্থনীতি

সুতা আমদানিতে রেকর্ড মাইলফলক, সাত বছরের শীর্ষ রেকর্ড

আপডেট সময় ০৭:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

 

বাংলাদেশ তুলা উৎপাদন করে না, ফলে পণ্যটি পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। তুলা আমদানি করে সুতা তৈরি করা হয়, যা মূলত পোশাকশিল্পে ব্যবহৃত হয়। তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তুলা আমদানিও বাড়ে। তবে বর্তমানে দেশে সুতা আমদানির প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে, যা দেশীয় স্পিনিং মিলগুলোর জন্য উদ্বেগজনক।

বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশে প্রায় ১২ লাখ টন সুতা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। এই সুতার বড় অংশই আসছে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।

স্পিনিং মিলগুলোর উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মিলগুলো তাদের উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ৫০ শতাংশ ব্যবহার করছে। অথচ দুই বছর আগে গ্যাসের দাম ১৫০-১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এতে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো দেশীয় সুতা ব্যবহার করলে যে নগদ সহায়তা পেত, তাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না দেশীয় সুতা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর তথ্যানুযায়ী, দেশে ৫১৯টি স্পিনিং মিল রয়েছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ। এই মিলগুলো নিট কাপড়ের ৮৫-৯০ শতাংশ এবং ওভেন কাপড়ের প্রায় ৪০ শতাংশ সুতা সরবরাহ করে।

তবে গত বছর পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় তুলা ও সুতার আমদানি বাড়ে। ২০২৩ সালে প্রায় ১৮ লাখ ৮৯ হাজার টন তুলা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। একই বছর ১২ লাখ টন সুতা আমদানিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

দেশীয় স্পিনিং শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি নগদ সহায়তা পুনর্বহাল ও উৎপাদন খরচ কমানোর উদ্যোগ নিলে দেশীয় শিল্প ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে পারবে বলে আশা রাখছেন সংশ্লিষ্টরা ।