ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনে রাজি নয় জর্ডান ও মিশর লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল। মুলতানে গ্যাস ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ৬, আহত ৩১ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গ্রিনল্যান্ড কিনতে মরিয়া, গা*জা খালি করার চেষ্টায় ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময়: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কলম্বিয়ায় মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজের অবতরণ ব্যাহত, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি ভ্যালেন্সিয়াকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে গোলবন্যায় বার্সেলোনা চরমোনাই পীরের সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ করবেন মির্জা ফখরুল রোহিঙ্গা সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অঙ্গীকার

স্থানীয় সরকারে সংস্কার: শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নতুন কাঠামোর সুপারিশ

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার কাঠামোর জনপ্রতিনিধিদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের সুপারিশ করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে হলে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে ইউপি সদস্যদের ক্ষেত্রে সরাসরি ভোটের বিধান বলবৎ থাকবে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ জানিয়েছেন, শিক্ষিতদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আসার সুযোগ তৈরি করতে এবং নিরক্ষর বা স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীদের নির্বাচন প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দিতে এই প্রস্তাবনা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজনৈতিক দল, পেশি ও টাকার দাপটে শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
প্রস্তাবনায় চেয়ারম্যান ও মেয়রদের জন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বেতন উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান এবং পৌর মেয়রদের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা সীমিত করে তাদের কেবল মতামত প্রদানের সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে। সরাসরি কোনো উপদেষ্টা পদে এমপিরা থাকবেন না।
৫০ হাজারের কম জনসংখ্যার পৌরসভাগুলোকে বিলুপ্ত করে ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। কমিশনের মতে, এসব পৌরসভা দলীয় নেতাদের পুনর্বাসনের জন্য গঠিত হয়েছে এবং এদের বেশিরভাগই আর্থিক সংকটে জর্জরিত।
নির্বাচনে অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। ২০২১-২০২৪ সালের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। একসঙ্গে নির্বাচন করলে এই ব্যয় কমিয়ে ৬০০ কোটি টাকায় আনা সম্ভব হতো। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বন্ধের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:০৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
৫১৩ বার পড়া হয়েছে

স্থানীয় সরকারে সংস্কার: শিক্ষাগত যোগ্যতা ও নতুন কাঠামোর সুপারিশ

আপডেট সময় ০৬:০৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
স্থানীয় সরকার কাঠামোর জনপ্রতিনিধিদের জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণের সুপারিশ করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে হলে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। তবে ইউপি সদস্যদের ক্ষেত্রে সরাসরি ভোটের বিধান বলবৎ থাকবে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ জানিয়েছেন, শিক্ষিতদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে আসার সুযোগ তৈরি করতে এবং নিরক্ষর বা স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীদের নির্বাচন প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দিতে এই প্রস্তাবনা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজনৈতিক দল, পেশি ও টাকার দাপটে শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
প্রস্তাবনায় চেয়ারম্যান ও মেয়রদের জন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানের বেতন উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান এবং পৌর মেয়রদের বেতন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা সীমিত করে তাদের কেবল মতামত প্রদানের সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে। সরাসরি কোনো উপদেষ্টা পদে এমপিরা থাকবেন না।
৫০ হাজারের কম জনসংখ্যার পৌরসভাগুলোকে বিলুপ্ত করে ইউনিয়নের সঙ্গে একীভূত করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। কমিশনের মতে, এসব পৌরসভা দলীয় নেতাদের পুনর্বাসনের জন্য গঠিত হয়েছে এবং এদের বেশিরভাগই আর্থিক সংকটে জর্জরিত।
নির্বাচনে অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। ২০২১-২০২৪ সালের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা। একসঙ্গে নির্বাচন করলে এই ব্যয় কমিয়ে ৬০০ কোটি টাকায় আনা সম্ভব হতো। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বন্ধের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।