ঢাকা ১১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনে রাজি নয় জর্ডান ও মিশর লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল। মুলতানে গ্যাস ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত ৬, আহত ৩১ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গ্রিনল্যান্ড কিনতে মরিয়া, গা*জা খালি করার চেষ্টায় ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময়: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি কলম্বিয়ায় মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজের অবতরণ ব্যাহত, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি ভ্যালেন্সিয়াকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে গোলবন্যায় বার্সেলোনা চরমোনাই পীরের সঙ্গে আজ সাক্ষাৎ করবেন মির্জা ফখরুল রোহিঙ্গা সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত অঙ্গীকার

দেশে অপরাধ বৃদ্ধির ফলে বাড়ছে জনমনে আতঙ্ক

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

দেশজুড়ে অপরাধের প্রকোপ বাড়ছে। চাঁদাবাজি, দখল, ছিনতাই, মব জাস্টিস, সাইবার ক্রাইম ও প্রতারণাসহ নানা ধরনের অপরাধে জনগণ শঙ্কিত। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের প্রচেষ্টা থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অসহায় হয়ে পড়ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, আইনের শিথিল প্রয়োগ এবং জবাবদিহিতার অভাবে মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। সামান্য বিষয়েও পিটিয়ে হত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে সমাজের গভীর সংকটের। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ছিনতাই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পুলিশ ও আদালতের তথ্য বলছে, গত ৪০ দিনে ঢাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩৪টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি প্রাণঘাতী। মগবাজার, কামরাঙ্গীরচর ও উড়ালসড়কের মতো এলাকায় ঘটেছে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড।

এদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে এরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তদুপরি, জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যা জননিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি সৃষ্টি করছে।

অপরাধ পরিসংখ্যান বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে ডাকাতি ও চুরির মামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ঢাকায় ছিনতাইকারীদের হামলায় মাত্র সাড়ে চার মাসে প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন। সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রেও অবস্থা শোচনীয়। সম্প্রতি ফেসবুকে মিথ্যা প্রচারণার জন্য দুটি পেজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম।

অপরাধ প্রবণতা কমাতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ, প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ, এবং কিশোর গ্যাং নির্মূলে কার্যকর উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
৫১০ বার পড়া হয়েছে

দেশে অপরাধ বৃদ্ধির ফলে বাড়ছে জনমনে আতঙ্ক

আপডেট সময় ১১:০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

 

দেশজুড়ে অপরাধের প্রকোপ বাড়ছে। চাঁদাবাজি, দখল, ছিনতাই, মব জাস্টিস, সাইবার ক্রাইম ও প্রতারণাসহ নানা ধরনের অপরাধে জনগণ শঙ্কিত। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের প্রচেষ্টা থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অসহায় হয়ে পড়ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, আইনের শিথিল প্রয়োগ এবং জবাবদিহিতার অভাবে মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। সামান্য বিষয়েও পিটিয়ে হত্যার মতো মর্মান্তিক ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে সমাজের গভীর সংকটের। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ছিনতাই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পুলিশ ও আদালতের তথ্য বলছে, গত ৪০ দিনে ঢাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩৪টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি প্রাণঘাতী। মগবাজার, কামরাঙ্গীরচর ও উড়ালসড়কের মতো এলাকায় ঘটেছে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড।

এদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে এরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তদুপরি, জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যা জননিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি সৃষ্টি করছে।

অপরাধ পরিসংখ্যান বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরে ডাকাতি ও চুরির মামলা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ঢাকায় ছিনতাইকারীদের হামলায় মাত্র সাড়ে চার মাসে প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন। সাইবার অপরাধের ক্ষেত্রেও অবস্থা শোচনীয়। সম্প্রতি ফেসবুকে মিথ্যা প্রচারণার জন্য দুটি পেজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম।

অপরাধ প্রবণতা কমাতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ, প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ, এবং কিশোর গ্যাং নির্মূলে কার্যকর উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।