ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন
বিডিআর বিদ্রোহ

১৬ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ১৬৮ বিডিআর সদস্য 

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিডিআর বিদ্রোহ মামলার ১৬৮ জন সদস্য। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৪১ জন, কাশিমপুর-১ থেকে ২৬ জন, কাশিমপুর-২ থেকে ৮৯ জন এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে ১২ জন সদস্য মুক্তি পান।

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল জানান, জামিনপ্রাপ্তদের তালিকা হাতে পাওয়ার পরই তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত ১৭৮ জন আসামির জামিনের আদেশ দেন। এর মধ্যে ১৬৮ জনের তালিকা কারাকর্তৃপক্ষ হাতে পায়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

হত্যা মামলার রায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর শেষ হয়। রায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যদিকে, ২৭৮ জনকে খালাস দেয়া হয়। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করে। সেখানে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুনঃতদন্তের দাবিও ওঠে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা গত ১৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে সরকার নতুন করে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে আ ল ম ফজলুর রহমান রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিডিআর বিদ্রোহ

১৬ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ১৬৮ বিডিআর সদস্য 

আপডেট সময় ০২:২২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিডিআর বিদ্রোহ মামলার ১৬৮ জন সদস্য। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৪১ জন, কাশিমপুর-১ থেকে ২৬ জন, কাশিমপুর-২ থেকে ৮৯ জন এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে ১২ জন সদস্য মুক্তি পান।

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল জানান, জামিনপ্রাপ্তদের তালিকা হাতে পাওয়ার পরই তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত ১৭৮ জন আসামির জামিনের আদেশ দেন। এর মধ্যে ১৬৮ জনের তালিকা কারাকর্তৃপক্ষ হাতে পায়।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন নিহত হন। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

হত্যা মামলার রায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর শেষ হয়। রায়ে ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যদিকে, ২৭৮ জনকে খালাস দেয়া হয়। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণা করে। সেখানে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুনঃতদন্তের দাবিও ওঠে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা গত ১৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে সরকার নতুন করে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে, যার নেতৃত্বে আ ল ম ফজলুর রহমান রয়েছেন।