০৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ব্যক্তি আয়কর পরিকল্পনা -৩০ নভেম্বরের আগে প্রস্তুতি, ফাইলিং ও পরবর্তী দিকনির্দেশনা সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা দুই ভাইয়ের বিরোধে সংঘর্ষ ও ভাঙচুর প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে পরিবর্তন মিশরের সাথে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের গ্যাস চুক্তি স্থগিত করল ইসরায়েল সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট জামায়াতসহ ৮ দলের হুঁশিয়ারি,দাবি না মানলে আন্দোলন তীব্র হবে রাউজানে সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপির ৫ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ চলমান যুদ্ধবিরতিতে হামাসের আরও এক বন্দির মরদেহ হস্তান্তর সেনাবাহিনীর ৫০ শতাংশ সদস্যকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে ২০২৬ সালের শুরুতে ইরানে গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ নির্মাণ শুরু করবে রাশিয়া
মোঃ ইসমাইল হোসাইন

ব্যক্তি আয়কর পরিকল্পনা -৩০ নভেম্বরের আগে প্রস্তুতি, ফাইলিং ও পরবর্তী দিকনির্দেশনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / 36

ছবি: সংগৃহীত

 

দেশে ব্যক্তিগাত আয়কর ফাইল করার সময় এগিয়ে আসছে-৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত আয়কর পরিকল্পনা (pre-planning)-ট্যাক্স প্রস্তুতি (preparation)-এর পাশাপাশি কর রিটার্ন দাখিলের (filing) পরবর্তী কর শৃঙ্খলা ও কর সাশ্রয়মূলক কিছু পরামর্শ নিচে উপস্থাপন করা হলো। কর আইন-অ্যামেন্ডমেন্ট-সহ (Finance Ordinance 2025/Income Tax Act 2023) প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিকোণ দেওয়া হয়েছে যাতে আপনি একজন করদাতা ও পেশাদার হিসেবে সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে কর বিষয়ক দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

১. কর-পরিকল্পনায় নিজেকে প্রস্তুত করা

বিজ্ঞাপন

ক) আয় ও ব্যয়ের পূর্বানুমান

আপনার ২০২৫ খ্রিস্টাব্দের (বাংলাদেশে সাধারণভাবে ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ অথবা রিটার্ন ফাইলিং সময়সূচি অনুযায়ী) মোট আয় বিশ্লেষণ করুন, যেমন-বেতন, ভাতা, ভাড়া আয়, সুদ, বিভাগীয় বোনাস, অন্য উৎস থেকে আয়। পাশাপাশি খরচ ও ব্যয় বিবেচনায় নিন যেমন-পেশাজীবী খরচ, বিনিয়োগ প্রচেষ্টা, ঋণসুদ।

খ) কর-চৌকস বিনিয়োগ ও রিবেট সুযোগ খোজা

উদাহরণস্বরূপ, ব্যবসায়িক আয় বা ভাড়া আয় থাকলে সেই আয় উপযোগী রেয়ায়েত বা কর-ছাড়ের সুযোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখুন। তাছাড়া, প্রধান করদাতা বিভাগ যেমন-বেতনভোগী হলে আয়কর আইন-এর সংশ্লিষ্ট ধারা (যেমন ধারা ৩৩) অনুযায়ী কোম্পানি প্রত্ত গাড়ি সুবিধার সাপেক্ষে আয় বাড়ানোর বিধান রয়েছে।

গ) কর-উপযোগী সাপেক্ষে রেকর্ড সংরক্ষণ

রেকর্ড সংরক্ষণ অত্যাবশ্যক-যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্যালারি স্লিপ, ভর্তুকি রসিদ, বিনিয়োগ রসিদ। পরে আয়কর রিটার্ন বা নিরীক্ষণ ক্ষেত্রে এসব আপনাকে সহায়তা করবে।

২. রিটার্ন ফাইলিংয়ের আগে ঠিক করণীয়

 

ক) কর-ছাড়া সীমা ও কর-স্ল্যাব আপডেট

সাধারণ করদাতাদের জন্য মূল কর-ছাড়া (tax-free) সীমা বর্তমানে BDT 350,000

মহিলা অথবা ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক করদাতাদের জন্য এটি BDT 400,000

শারীরিক অক্ষমতা বা তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও সুনির্দিষ্ট ছাড় রয়েছে।

এখানে লক্ষ্যণীয় যে, আগামী অ্যাসেসমেন্ট বছরে (২০২৬-২৭) জন্য সীমা BDT 375,000 করার প্রস্তাব রয়েছে।

খ) কর-স্ল্যাব ও করহার

নতুন আইন অনুসারে ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে-সর্বোচ্চ করহার ৩০% পর্যন্ত।

গ) কর-রিটার্ন আগে প্রস্তুতি

করদাতার টিন (TIN) নবায়ন নিশ্চিত করুন। অনলাইন রিটার্ন ফাইলিং পোর্টাল (যেমন National Board of Revenue (NBR)-এর ওয়েবসাইট)-র মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করতে হবে। গাড়ি সুবিধা ইত্যাদি হলে আয় হিসেে অংশ আছে কি না খতিয়ে দেখুন-যেমন ১৫০০ সিসি গাড়িতে মাসিক ১১৫,০০০ সহ অন্যান্য স্ল্যাব।

৩. রিটার্ন দাখিলের পর করদাতার করণীয়

ক) রিটার্ন দাখিলের পর নিশ্চিতকরণ ও প্রিন্ট সংরক্ষণ

রিটার্ন দাখিলের পর প্রিন্ট অথবা ডিজিটাল কপি সংরক্ষণ করুন। এ থেকে কর বাতিল বা সংশোধনী প্রয়োজনে আপনার পক্ষে প্রামাণ থাকবে।

খ) পরবর্তী করলিপি ও সংশোধনী

সময়ে যদি রিটার্নে ভুল থাকে বা আয়/ব্যয় পরিবর্তন হয়, তাহলে সংশোধনী রিটার্ন দাখিলের সুযোগ আছে কি না খুঁজুন। কর পরিশোধের রকর্ড সংরক্ষণ করুন-যদি পরবর্তী সময়ে নিরীক্ষণ হয়।

গ) কর পরবর্তী অডিট/নিরীক্ষণ-প্রস্তুতি
করদাতা হিসেবে, যদি আপনার আয় বা সম্পদ বিশেষ মাত্রায় হয় তাহলে নিরীক্ষণ সম্ভাবনা বেশি। যেমন, উচ্চ আয়, বড় সম্পত্তি, একাধিক গাড়ি, যেমন ধারা অনুযায়ী সারচার্জের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

ঘ) বিনিয়োগ ও আয়-পরবর্তী পরিকল্পনা

রিটার্ন দাখিলের পরও কর-ছাড় এবং রিবেটের সুযোগ রয়েছে কি না যাচাই করুন। আগামী করবছরের উৎস অনুযায়ী (যেমন বিনিয়োগ, সঞ্চয়, বাড়তি ভাড়া আয়) কর-উপযোগী পরিকল্পনা সাজিয়ে নিন-আগাম কর ঝামেলা এড়াতে।

৪. কর-সাশ্রয় ও ভালো অভ্যাসের কিছু টিপস

i. ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আয়/বিনিয়োগ রাখুন-ক্যাশ লেনদেনে সমস্যা হতে পারে।

ii. সঠিক সময়ে উৎস কর (withholding tax) কাটা হয়েছে কি না নিশ্চিত করুন।

iii. বাড়ি ভাড়া দিলে রসিদভিত্তিক তথ্য সংরক্ষণ করুন।

iv. গাড়ি সুবিধা, কোম্পানি প্রদান বোনাস ইত্যাদির জন্য ব্যক্তিগত আয় নিশ্চিতভাবে গননায় আনুন।

v. বিনিয়োগের জন্য কর – ছাড়া জানিয়ে রাখুন ( যেমন কিছু সঞ্চয় /বিনিয়োগ উৎপন্ন আয় বিবেচনা আসতে পারে) – তবে সব বিনিয়োগই কর ছাড় সুবিধা দেয় না, তাই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিন।

vi. সময়মত রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধ নিশ্চিত করুন; বিলম্ব হলে অতিরিক্ত জরিমানা হতে পারে।

৫. আপনার পেশাগত ও করদাতা হিসেবে কিছু বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার বিষয়

i. কর আইন ও কোম্পানি আইন (Banking Companies Act, 2023, Financial Institutions Act, 1993) এর আলোকে আপনার উৎস আয় সঠিক শ্রেণিতে হয়েছে কি না নিশ্চিত করুন।

ii. কোম্পানিতে বেতনপ্রাপ্ত বা অন্যান্য সুবিধা গ্রহীতার ক্ষেত্রে আয়কর বিধান অনুযায়ী আয় ও ছাড় সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে কি না খুঁজে দেখুন।

iii. কর-রিটার্ন, বিনিয়োগ সাপেক্ষ রেকর্ড ও করপোরেট-রিপোর্টিংয়ের সাথে সমন্বয় রাখুন-যাতে কর নিরীক্ষণ কিংবা কোম্পানি অডিটে গোলযোগ না হয়।

iv. কর-পরিকল্পনায় আজকের প্রস্তুতি আগামী করবছরে বিরূপ প্রভাব এড়াতে সাহায্য করবে।

৬. উপসংহারঃ

৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখটি ব্যক্তিগত কররিটার্ন দাখিলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা। তবে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই ঠিক হয় না-সতর্ক পরিকল্পনা, সঠিক রেকর্ড সংরক্ষণ, কর-ছাড়া ও রিবেট-উপযোগী বিনিয়োগ বিবেচনায় নিয়ে চলা প্রয়োজন। আপনার পক্ষে উপযুক্তভাবে কর ব্যবস্থা সৃষ্টি করা হলে ভবিষ্যতে কর ঝামেলা কম হবে ও আপনি আত্মবিশ্বাসে করদাতা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মোঃ ইসমাইল হোসাইন

ব্যক্তি আয়কর পরিকল্পনা -৩০ নভেম্বরের আগে প্রস্তুতি, ফাইলিং ও পরবর্তী দিকনির্দেশনা

আপডেট সময় ০২:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

 

দেশে ব্যক্তিগাত আয়কর ফাইল করার সময় এগিয়ে আসছে-৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত আয়কর পরিকল্পনা (pre-planning)-ট্যাক্স প্রস্তুতি (preparation)-এর পাশাপাশি কর রিটার্ন দাখিলের (filing) পরবর্তী কর শৃঙ্খলা ও কর সাশ্রয়মূলক কিছু পরামর্শ নিচে উপস্থাপন করা হলো। কর আইন-অ্যামেন্ডমেন্ট-সহ (Finance Ordinance 2025/Income Tax Act 2023) প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিকোণ দেওয়া হয়েছে যাতে আপনি একজন করদাতা ও পেশাদার হিসেবে সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে কর বিষয়ক দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

১. কর-পরিকল্পনায় নিজেকে প্রস্তুত করা

বিজ্ঞাপন

ক) আয় ও ব্যয়ের পূর্বানুমান

আপনার ২০২৫ খ্রিস্টাব্দের (বাংলাদেশে সাধারণভাবে ১ জুলাই ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ অথবা রিটার্ন ফাইলিং সময়সূচি অনুযায়ী) মোট আয় বিশ্লেষণ করুন, যেমন-বেতন, ভাতা, ভাড়া আয়, সুদ, বিভাগীয় বোনাস, অন্য উৎস থেকে আয়। পাশাপাশি খরচ ও ব্যয় বিবেচনায় নিন যেমন-পেশাজীবী খরচ, বিনিয়োগ প্রচেষ্টা, ঋণসুদ।

খ) কর-চৌকস বিনিয়োগ ও রিবেট সুযোগ খোজা

উদাহরণস্বরূপ, ব্যবসায়িক আয় বা ভাড়া আয় থাকলে সেই আয় উপযোগী রেয়ায়েত বা কর-ছাড়ের সুযোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখুন। তাছাড়া, প্রধান করদাতা বিভাগ যেমন-বেতনভোগী হলে আয়কর আইন-এর সংশ্লিষ্ট ধারা (যেমন ধারা ৩৩) অনুযায়ী কোম্পানি প্রত্ত গাড়ি সুবিধার সাপেক্ষে আয় বাড়ানোর বিধান রয়েছে।

গ) কর-উপযোগী সাপেক্ষে রেকর্ড সংরক্ষণ

রেকর্ড সংরক্ষণ অত্যাবশ্যক-যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্যালারি স্লিপ, ভর্তুকি রসিদ, বিনিয়োগ রসিদ। পরে আয়কর রিটার্ন বা নিরীক্ষণ ক্ষেত্রে এসব আপনাকে সহায়তা করবে।

২. রিটার্ন ফাইলিংয়ের আগে ঠিক করণীয়

 

ক) কর-ছাড়া সীমা ও কর-স্ল্যাব আপডেট

সাধারণ করদাতাদের জন্য মূল কর-ছাড়া (tax-free) সীমা বর্তমানে BDT 350,000

মহিলা অথবা ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক করদাতাদের জন্য এটি BDT 400,000

শারীরিক অক্ষমতা বা তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও সুনির্দিষ্ট ছাড় রয়েছে।

এখানে লক্ষ্যণীয় যে, আগামী অ্যাসেসমেন্ট বছরে (২০২৬-২৭) জন্য সীমা BDT 375,000 করার প্রস্তাব রয়েছে।

খ) কর-স্ল্যাব ও করহার

নতুন আইন অনুসারে ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে-সর্বোচ্চ করহার ৩০% পর্যন্ত।

গ) কর-রিটার্ন আগে প্রস্তুতি

করদাতার টিন (TIN) নবায়ন নিশ্চিত করুন। অনলাইন রিটার্ন ফাইলিং পোর্টাল (যেমন National Board of Revenue (NBR)-এর ওয়েবসাইট)-র মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করতে হবে। গাড়ি সুবিধা ইত্যাদি হলে আয় হিসেে অংশ আছে কি না খতিয়ে দেখুন-যেমন ১৫০০ সিসি গাড়িতে মাসিক ১১৫,০০০ সহ অন্যান্য স্ল্যাব।

৩. রিটার্ন দাখিলের পর করদাতার করণীয়

ক) রিটার্ন দাখিলের পর নিশ্চিতকরণ ও প্রিন্ট সংরক্ষণ

রিটার্ন দাখিলের পর প্রিন্ট অথবা ডিজিটাল কপি সংরক্ষণ করুন। এ থেকে কর বাতিল বা সংশোধনী প্রয়োজনে আপনার পক্ষে প্রামাণ থাকবে।

খ) পরবর্তী করলিপি ও সংশোধনী

সময়ে যদি রিটার্নে ভুল থাকে বা আয়/ব্যয় পরিবর্তন হয়, তাহলে সংশোধনী রিটার্ন দাখিলের সুযোগ আছে কি না খুঁজুন। কর পরিশোধের রকর্ড সংরক্ষণ করুন-যদি পরবর্তী সময়ে নিরীক্ষণ হয়।

গ) কর পরবর্তী অডিট/নিরীক্ষণ-প্রস্তুতি
করদাতা হিসেবে, যদি আপনার আয় বা সম্পদ বিশেষ মাত্রায় হয় তাহলে নিরীক্ষণ সম্ভাবনা বেশি। যেমন, উচ্চ আয়, বড় সম্পত্তি, একাধিক গাড়ি, যেমন ধারা অনুযায়ী সারচার্জের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

ঘ) বিনিয়োগ ও আয়-পরবর্তী পরিকল্পনা

রিটার্ন দাখিলের পরও কর-ছাড় এবং রিবেটের সুযোগ রয়েছে কি না যাচাই করুন। আগামী করবছরের উৎস অনুযায়ী (যেমন বিনিয়োগ, সঞ্চয়, বাড়তি ভাড়া আয়) কর-উপযোগী পরিকল্পনা সাজিয়ে নিন-আগাম কর ঝামেলা এড়াতে।

৪. কর-সাশ্রয় ও ভালো অভ্যাসের কিছু টিপস

i. ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আয়/বিনিয়োগ রাখুন-ক্যাশ লেনদেনে সমস্যা হতে পারে।

ii. সঠিক সময়ে উৎস কর (withholding tax) কাটা হয়েছে কি না নিশ্চিত করুন।

iii. বাড়ি ভাড়া দিলে রসিদভিত্তিক তথ্য সংরক্ষণ করুন।

iv. গাড়ি সুবিধা, কোম্পানি প্রদান বোনাস ইত্যাদির জন্য ব্যক্তিগত আয় নিশ্চিতভাবে গননায় আনুন।

v. বিনিয়োগের জন্য কর – ছাড়া জানিয়ে রাখুন ( যেমন কিছু সঞ্চয় /বিনিয়োগ উৎপন্ন আয় বিবেচনা আসতে পারে) – তবে সব বিনিয়োগই কর ছাড় সুবিধা দেয় না, তাই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিন।

vi. সময়মত রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধ নিশ্চিত করুন; বিলম্ব হলে অতিরিক্ত জরিমানা হতে পারে।

৫. আপনার পেশাগত ও করদাতা হিসেবে কিছু বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার বিষয়

i. কর আইন ও কোম্পানি আইন (Banking Companies Act, 2023, Financial Institutions Act, 1993) এর আলোকে আপনার উৎস আয় সঠিক শ্রেণিতে হয়েছে কি না নিশ্চিত করুন।

ii. কোম্পানিতে বেতনপ্রাপ্ত বা অন্যান্য সুবিধা গ্রহীতার ক্ষেত্রে আয়কর বিধান অনুযায়ী আয় ও ছাড় সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে কি না খুঁজে দেখুন।

iii. কর-রিটার্ন, বিনিয়োগ সাপেক্ষ রেকর্ড ও করপোরেট-রিপোর্টিংয়ের সাথে সমন্বয় রাখুন-যাতে কর নিরীক্ষণ কিংবা কোম্পানি অডিটে গোলযোগ না হয়।

iv. কর-পরিকল্পনায় আজকের প্রস্তুতি আগামী করবছরে বিরূপ প্রভাব এড়াতে সাহায্য করবে।

৬. উপসংহারঃ

৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখটি ব্যক্তিগত কররিটার্ন দাখিলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা। তবে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই ঠিক হয় না-সতর্ক পরিকল্পনা, সঠিক রেকর্ড সংরক্ষণ, কর-ছাড়া ও রিবেট-উপযোগী বিনিয়োগ বিবেচনায় নিয়ে চলা প্রয়োজন। আপনার পক্ষে উপযুক্তভাবে কর ব্যবস্থা সৃষ্টি করা হলে ভবিষ্যতে কর ঝামেলা কম হবে ও আপনি আত্মবিশ্বাসে করদাতা দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।