যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহ পরও গাজায় ত্রাণ সরবরাহে ধীরগতি
- আপডেট সময় ০৪:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
- / 93
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহ পার হয়েছে। দুই বছরের বেশি সময়ের আগ্রাসনের পর নতুন করে গত ১০ অক্টোবর বিধ্বস্ত এ ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয় ইসরাইল।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় ত্রাণ সরবরাহে ধীরগতি অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজনের তুলনায় কম ত্রাণ উপত্যকায় প্রবেশ করতে পারছে।
গাজা থেকে আলজাজিরার প্রতিনিধি হিন্দ খুদারি জানান, গাজা ও ইসরাইল সীমান্তবর্তী কিসসুফিম ক্রসিংয়ে শুক্রবার সকাল থেকে শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। গাজায় প্রবেশের জন্য ইসরাইলের সবুজ সংকেত পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করছে। প্রতিদিন গাজায় কমপক্ষে ৬০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের চাহিদা থাকলেও সারা দিনে ৩০০’র কম ট্রাক প্রবেশ করে। এছাড়া গাজায় সরবরাহের জন্য ত্রাণসামগ্রীর মধ্যেও বিভিন্ন ব্যবহার্য বস্তু ও বস্তুর পরিমাণের ওপর ইসরাইলের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এদিকে, দুই বছরের আগ্রাসনে গাজার কৃষি ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে উপত্যকায় বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর জেরে সতর্কতা জানিয়েছে।
শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে সংস্থাটি এক পোস্টে জানায়, আগে গাজায় যেখানে এক কেজি টমেটো ৬০ সেন্টে পাওয়া যেত, সেখানে তা কিনতে এখন ১৫ ডলার খরচ করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় তাও পাওয়া যায় না।
পোস্টে বলা হয়, আগে একসময় যে পরিবারগুলো তাদের জমিতে উৎপন্ন শস্য থেকেই জীবিকা করত, সেখানে এখন তাদের কোনো আয় নেই।
এতে বলা হয়, ‘গাজায় কৃষি খাত পুনর্গঠন না করা পর্যন্ত আবশ্যিকভাবে অবাধ ত্রাণ সরবরাহ রাখা উচিত।’























