১০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

মানব পাচারকালে ২৬ জন আটক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / 54

ছবি সংগৃহীত

 

শেরপুর সীমান্ত দিয়ে শুধু চোরাকারবার নয়, মানব পাচারও হচ্ছে। গত সোমবার গভীর রাতে ঝিনাইগাতী হলদিগ্রাম বিওপির শালবাগান নামক স্থান থেকে বিজিবি মানব পাচারের অভিযোগে ২৬ জনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ২০ জন শ্রমিক, দুজন মানব পাচারকারী এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার চার চালক রয়েছেন। এ সময় ১৪টি মোবাইল ফোন, চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা ও একটি পাওয়ার ব্যাংক জব্দ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর ধরে শেরপুরের গারো পাহাড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য আসছে। ইতোমধ্যে প্রায় শত কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। স্থানীয় সীমান্তবাসীর ধারণা ছিল, কিছু চোরাকারবারি গোপনে অবৈধ পথে মাঝে মাঝে সীমান্ত পার হতো, কিন্তু মানব পাচারের কথা ভাবা হয়নি।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল পরিমাণ পণ্য আসায় বিজিবির গোয়েন্দারা নড়েচড়ে বসেন। তারা জানতে পারেন, একটি শক্তিশালী চক্র এই অঞ্চলে মানব পাচারে জড়িত। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার গভীর রাতে বিজিবি সদস্যরা ঝিনাইগাতীর হলদিগ্রাম বিওপির শালবাগান (সীমান্ত পিলার ১১১০) এলাকায় একটি বড় মানব পাচার চালান আটক করতে সক্ষম হন।

রাত ৩টার দিকে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে ২৮-৩০ জন ওই স্থানে আসেন সীমান্তের ওপারে যাওয়ার জন্য। বিজিবি তাদের ঘিরে ফেলে এবং আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, তাদের ভারতীয় চেন্নাই শহরে পাঠানো হচ্ছিল রাজমিস্ত্রির সহকারী শ্রমিক হিসেবে। এজন্য তারা জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা দালালদের দিয়েছেন। আটকে পড়া দালালরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কুদালকাটি গ্রামের মিলন হক ও নালিতাবাড়ীর বাতকুচি গ্রামের মজনু মিয়া জানান, তাদের প্রধান মহিদুল ইসলাম, যিনি নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদি হাসান জানান, গত এক বছরে বিজিবি সীমান্তে কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। ফলে চোরাই পণ্যের পাশাপাশি মঙ্গলবার একটি বড় মানব পাচারের চালান আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, মানব পাচার চক্রের দুই সদস্য, ২০ শ্রমিক ও ৪ জন অটোরিকশা চালককে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঝিনাইগাতী থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

মানব পাচারকালে ২৬ জন আটক

আপডেট সময় ০৫:৩৯:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

 

শেরপুর সীমান্ত দিয়ে শুধু চোরাকারবার নয়, মানব পাচারও হচ্ছে। গত সোমবার গভীর রাতে ঝিনাইগাতী হলদিগ্রাম বিওপির শালবাগান নামক স্থান থেকে বিজিবি মানব পাচারের অভিযোগে ২৬ জনকে আটক করেছে।

আটক ব্যক্তিরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ২০ জন শ্রমিক, দুজন মানব পাচারকারী এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার চার চালক রয়েছেন। এ সময় ১৪টি মোবাইল ফোন, চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা ও একটি পাওয়ার ব্যাংক জব্দ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর ধরে শেরপুরের গারো পাহাড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য আসছে। ইতোমধ্যে প্রায় শত কোটি টাকার পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। স্থানীয় সীমান্তবাসীর ধারণা ছিল, কিছু চোরাকারবারি গোপনে অবৈধ পথে মাঝে মাঝে সীমান্ত পার হতো, কিন্তু মানব পাচারের কথা ভাবা হয়নি।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল পরিমাণ পণ্য আসায় বিজিবির গোয়েন্দারা নড়েচড়ে বসেন। তারা জানতে পারেন, একটি শক্তিশালী চক্র এই অঞ্চলে মানব পাচারে জড়িত। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার গভীর রাতে বিজিবি সদস্যরা ঝিনাইগাতীর হলদিগ্রাম বিওপির শালবাগান (সীমান্ত পিলার ১১১০) এলাকায় একটি বড় মানব পাচার চালান আটক করতে সক্ষম হন।

রাত ৩টার দিকে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে ২৮-৩০ জন ওই স্থানে আসেন সীমান্তের ওপারে যাওয়ার জন্য। বিজিবি তাদের ঘিরে ফেলে এবং আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানান, তাদের ভারতীয় চেন্নাই শহরে পাঠানো হচ্ছিল রাজমিস্ত্রির সহকারী শ্রমিক হিসেবে। এজন্য তারা জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা দালালদের দিয়েছেন। আটকে পড়া দালালরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কুদালকাটি গ্রামের মিলন হক ও নালিতাবাড়ীর বাতকুচি গ্রামের মজনু মিয়া জানান, তাদের প্রধান মহিদুল ইসলাম, যিনি নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদি হাসান জানান, গত এক বছরে বিজিবি সীমান্তে কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। ফলে চোরাই পণ্যের পাশাপাশি মঙ্গলবার একটি বড় মানব পাচারের চালান আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, মানব পাচার চক্রের দুই সদস্য, ২০ শ্রমিক ও ৪ জন অটোরিকশা চালককে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঝিনাইগাতী থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।