১০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা শিশু সাজিদের মৃত্যু: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মানুষকে ভয় দেখাতেই এসব হামলা: রিজওয়ানা আটকের পর যা বললেন গুলিতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হান্নান মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 159

ছবি সংগৃহীত

 

 

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রাঘপাশা গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন তিনজন কৃষক। তারা হলেন—মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া, মো. হানিফ মিয়া এবং মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

বিজ্ঞাপন

তারা ‘সবজি প্রদর্শনী (নন-ক্রিপার)’ ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০ শতক জমিতে এই জাতের টমেটো চাষ করেন। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক পদ্ধতির সমন্বয়ে চাষ করা এই টমেটোর বাজারমূল্যও বেশ চমকপ্রদ—স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আর শহরের পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়।
টমেটো চাষে ব্যবহার করা হয়েছে মালচিং পেপার ও হলুদ ফাঁদ। এছাড়া, ক্ষতিকর রাসায়নিকের বদলে প্রয়োগ করা হয়েছে জৈব বালাইনাশক, যার ফলে ফলন হয়েছে নিরাপদ ও বিষমুক্ত।

কৃষকরা জানান, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তারা মৌলভীবাজার থেকে প্রতি চারা ১০ টাকা দামে গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটোর চারা সংগ্রহ করেন। জুন মাসের শেষ দিকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার চারা রোপণ করার পর, জুলাইয়ের শেষ থেকে টমেটো বিক্রি শুরু করেন তারা।
প্রথম দফায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন তারা। আর বাকি ফলন থেকে আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকার আয় হবে বলে আশা করছেন। ফলে তারা আগামী মৌসুমে আরও বড় পরিসরে এই টমেটোর চাষ করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষকরাও এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম জানান, রাঘপাশা গ্রামে প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ শুরু করেন রুহুল আমিন মানিক মিয়া। তার সাফল্য দেখে আরও দুই কৃষক হানিফ মিয়া ও মোয়াজ্জেম হোসেন এতে যুক্ত হন এবং তারাও লাভবান হন।

তিনি বলেন, কাটিং পদ্ধতিতে গ্রাফটিং করলে গাছের শিকড় অনেক শক্ত হয়, ফলে অতিরিক্ত পানিতেও ক্ষতি হয় না। বাহুবল উপজেলায় এই জাতের টমেটো আগে তেমন একটা চাষ না হলেও, এখন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা

আপডেট সময় ১১:১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রাঘপাশা গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন তিনজন কৃষক। তারা হলেন—মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া, মো. হানিফ মিয়া এবং মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

বিজ্ঞাপন

তারা ‘সবজি প্রদর্শনী (নন-ক্রিপার)’ ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০ শতক জমিতে এই জাতের টমেটো চাষ করেন। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক পদ্ধতির সমন্বয়ে চাষ করা এই টমেটোর বাজারমূল্যও বেশ চমকপ্রদ—স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আর শহরের পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়।
টমেটো চাষে ব্যবহার করা হয়েছে মালচিং পেপার ও হলুদ ফাঁদ। এছাড়া, ক্ষতিকর রাসায়নিকের বদলে প্রয়োগ করা হয়েছে জৈব বালাইনাশক, যার ফলে ফলন হয়েছে নিরাপদ ও বিষমুক্ত।

কৃষকরা জানান, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তারা মৌলভীবাজার থেকে প্রতি চারা ১০ টাকা দামে গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটোর চারা সংগ্রহ করেন। জুন মাসের শেষ দিকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার চারা রোপণ করার পর, জুলাইয়ের শেষ থেকে টমেটো বিক্রি শুরু করেন তারা।
প্রথম দফায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন তারা। আর বাকি ফলন থেকে আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকার আয় হবে বলে আশা করছেন। ফলে তারা আগামী মৌসুমে আরও বড় পরিসরে এই টমেটোর চাষ করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষকরাও এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম জানান, রাঘপাশা গ্রামে প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ শুরু করেন রুহুল আমিন মানিক মিয়া। তার সাফল্য দেখে আরও দুই কৃষক হানিফ মিয়া ও মোয়াজ্জেম হোসেন এতে যুক্ত হন এবং তারাও লাভবান হন।

তিনি বলেন, কাটিং পদ্ধতিতে গ্রাফটিং করলে গাছের শিকড় অনেক শক্ত হয়, ফলে অতিরিক্ত পানিতেও ক্ষতি হয় না। বাহুবল উপজেলায় এই জাতের টমেটো আগে তেমন একটা চাষ না হলেও, এখন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।