০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত ১৪, কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 58

ছবি: সংগৃহীত

 

সরকারি দুর্নীতি এবং সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নেপালে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া জেন-জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন শহরের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করেছে।

এক প্রতিবেদনে কাঠমান্ডু পোস্ট এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় ট্রমা সেন্টারে আনা ৭ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন। বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালে ৩ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সেই সঙ্গে শহরের সিভিল হাসপাতালে দু’জন এবং মহারাজগঞ্জের কেএমসি ও ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে একজন করে মারা গেছেন। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক দীপেন্দ্র পান্ডে বলেন, অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের মাথায় ও বুকে গুলি লেগেছে। ২০ জনেরও বেশি চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা অনিল অধিকারী বলেন, ৫০ জনেরও বেশি মানুষ চিকিৎসাধীন।এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান, কাঁদানে গ্যাস এবং তাজা গুলি ব্যবহার করেছে। কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরও অস্থিরতা রোধ এবং সংবেদনশীল সরকারি স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কার্ফিউ জারি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য আগে থেকেই ব্যারিকেড তৈরি করেছিল, কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যায়। এর ফলে জলকামান এবং টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা গাছের ডাল এবং পানির বোতল ছুঁড়ে মারে, সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং কেউ কেউ পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে।

হাজার হাজার তরুণ বিক্ষোভে যোগ দেয়। ব্যাপক দুর্নীতি এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি অনিবন্ধিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানায়।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত ১৪, কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি

আপডেট সময় ০৮:৩৭:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

সরকারি দুর্নীতি এবং সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে নেপালে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া জেন-জি নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন শহরের বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করেছে।

এক প্রতিবেদনে কাঠমান্ডু পোস্ট এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় ট্রমা সেন্টারে আনা ৭ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন। বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালে ৩ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সেই সঙ্গে শহরের সিভিল হাসপাতালে দু’জন এবং মহারাজগঞ্জের কেএমসি ও ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে একজন করে মারা গেছেন। তবে নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসক দীপেন্দ্র পান্ডে বলেন, অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের মাথায় ও বুকে গুলি লেগেছে। ২০ জনেরও বেশি চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালের কর্মকর্তা অনিল অধিকারী বলেন, ৫০ জনেরও বেশি মানুষ চিকিৎসাধীন।এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান, কাঁদানে গ্যাস এবং তাজা গুলি ব্যবহার করেছে। কাঠমান্ডু এবং অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরও অস্থিরতা রোধ এবং সংবেদনশীল সরকারি স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কার্ফিউ জারি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের জন্য আগে থেকেই ব্যারিকেড তৈরি করেছিল, কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যায়। এর ফলে জলকামান এবং টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা গাছের ডাল এবং পানির বোতল ছুঁড়ে মারে, সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং কেউ কেউ পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে।

হাজার হাজার তরুণ বিক্ষোভে যোগ দেয়। ব্যাপক দুর্নীতি এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি অনিবন্ধিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানায়।