ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অস্ট্রেলিয়ার ১০ বিলিয়ন ডলারের উইন্ড ফার্ম প্রকল্প বাতিল কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়ল ৪১৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল ডাকসু প্রচারণায় কঠোর শৃঙ্খলা জারি, প্রার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা চীন সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি দল ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬ দাবি-আপত্তির শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের ঘোষণা ট্রাম্পের “প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ” যুদ্ধ শেষ হলেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে : ফিনল্যান্ড আবাসন ভাতাসহ তিন দাবিতে জবি ছাত্রদলের মানববন্ধন প্রথমবারের মতো হাফতার নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ায় ভিড়ল তুর্কি যুদ্ধজাহাজ

“প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ”

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / 8

ছবি: সংগৃহীত

 

মিয়ানমারকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। রাখাইনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সামরিক জান্তার ওপর একসময় নিষেধাজ্ঞা দিলেও সম্প্রতি মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে তা প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। আধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্রশিল্পে এসব খনিজ অপরিহার্য হওয়ায় চীন দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে মিয়ানমার এখন দুই শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রবিন্দুতে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু বড় শক্তিগুলোর স্বার্থের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে। এতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উভয়ই ঝুঁকির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশি কূটনীতিকদের মতে, ২০১৭ সালের হত্যাযজ্ঞের পর থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার চক্র ভাঙা যায়নি। এতে দেশটির সাধারণ জনগণ যেমন হুমকির মুখে রয়েছে, তেমনি অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন—যা পুরো অঞ্চলের জন্য বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

“প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ”

আপডেট সময় ১০:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

 

মিয়ানমারকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। রাখাইনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সামরিক জান্তার ওপর একসময় নিষেধাজ্ঞা দিলেও সম্প্রতি মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে তা প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। আধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্রশিল্পে এসব খনিজ অপরিহার্য হওয়ায় চীন দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে মিয়ানমার এখন দুই শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রবিন্দুতে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু বড় শক্তিগুলোর স্বার্থের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে। এতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উভয়ই ঝুঁকির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশি কূটনীতিকদের মতে, ২০১৭ সালের হত্যাযজ্ঞের পর থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার চক্র ভাঙা যায়নি। এতে দেশটির সাধারণ জনগণ যেমন হুমকির মুখে রয়েছে, তেমনি অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন—যা পুরো অঞ্চলের জন্য বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে।