১২:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

“প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ”

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / 42

ছবি: সংগৃহীত

 

মিয়ানমারকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। রাখাইনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সামরিক জান্তার ওপর একসময় নিষেধাজ্ঞা দিলেও সম্প্রতি মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে তা প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। আধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্রশিল্পে এসব খনিজ অপরিহার্য হওয়ায় চীন দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে মিয়ানমার এখন দুই শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বিজ্ঞাপন

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু বড় শক্তিগুলোর স্বার্থের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে। এতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উভয়ই ঝুঁকির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশি কূটনীতিকদের মতে, ২০১৭ সালের হত্যাযজ্ঞের পর থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার চক্র ভাঙা যায়নি। এতে দেশটির সাধারণ জনগণ যেমন হুমকির মুখে রয়েছে, তেমনি অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন—যা পুরো অঞ্চলের জন্য বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

“প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ”

আপডেট সময় ১০:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

 

মিয়ানমারকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। রাখাইনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সামরিক জান্তার ওপর একসময় নিষেধাজ্ঞা দিলেও সম্প্রতি মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে তা প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান লক্ষ্য মিয়ানমারের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। আধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্রশিল্পে এসব খনিজ অপরিহার্য হওয়ায় চীন দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে মিয়ানমার এখন দুই শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রবিন্দুতে।

বিজ্ঞাপন

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির মনে করেন, রোহিঙ্গা ইস্যু বড় শক্তিগুলোর স্বার্থের আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে। এতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উভয়ই ঝুঁকির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশি কূটনীতিকদের মতে, ২০১৭ সালের হত্যাযজ্ঞের পর থেকে মিয়ানমারে সহিংসতার চক্র ভাঙা যায়নি। এতে দেশটির সাধারণ জনগণ যেমন হুমকির মুখে রয়েছে, তেমনি অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন—যা পুরো অঞ্চলের জন্য বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে।