ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাজিদ হত্যার ইস্যুতে পরিবারের মামলা আদালত চত্ত্বর থেকে পালানো আসামী বরগুনা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা ও সহযোগিতা চাইল রেলপথ মন্ত্রণালয় বাঁশ কুড়াল খুজতে গিয়ে কিশোরী পা বিচ্ছিন্ন চট্টগ্রামে হত্যাকাণ্ড: তিন ভাইসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড সরকারি ৭ কলেজ নিয়ে গঠিত হচ্ছে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ সাজিদ হত্যার ইস্যুতে আজই মামলা, সন্ধ্যায় জরুরি সিন্ডিকেট; ইবি উপাচার্য বিএনপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত : সালাহউদ্দিন পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদে সময়সীমা নির্ধারণ করলো ইসি

আদালত চত্ত্বর থেকে পালানো আসামী বরগুনা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / 8

ছবি: সংগৃহীত

 

বরগুনা জেলা জজ আদালত চত্ত্বর থেকে পালানো আসামী মোঃ আল আমিন (৩০) অবশেষে পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে। রবিবার (০৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানোর সময় আদালত প্রাঙ্গণে রাখা গাড়ির কাছ থেকে হাতকড়া খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান তিনি।

আদালত পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আল আমিনকে আদালত থেকে বরগুনা জেলা কারাগারে নেওয়ার জন্য এএসআই মোঃ আমিনুল ইসলাম ও তিনজন কনস্টেবলের সমন্বয়ে একটি দল দায়িত্বে ছিল। কিন্তু গাফিলতির সুযোগে আসামী পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইয়াকুব হোসাইন এর নির্দেশে এসআই সোহেলের নেতৃত্বে রাত থেকেই অভিযান চালায়। আজ সন্ধ্যা নাগাত বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের ক্রোক এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে বসে থাকা অবস্থায় আসামী আল আমিনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

আল আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ময়না আক্তার ২০১৭ সালের ৪৮নং পারিবারিক মামলায় রায় পাওয়ার পর ২০১৮ সালে ৩৬নং পারিবারিক ডিক্রি জারী মামলাও দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আল আমিন দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। শনিবার (০২ আগস্ট) রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং রবিবার সকালে আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, “আসামী পালানোর বিষয়টি সত্য। আদালতের আদেশ অনুযায়ী কারাগারে নেওয়ার পথে সে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা তাকে আবার গ্রেপ্তার করেছি।”

বরগুনা জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. মোঃ আহসান হাবিব স্বপন বলেন, “২০১৮ সালে আমি তার পক্ষে আইনি সহায়তা দিয়েছিলাম। সে জামিনে মুক্তির পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। পুলিশের দায়িত্বে গাফিলতির কারণেই সে পালিয়ে যেতে পেরেছে। যথাযথ নিয়মে আসামী হস্তান্তর করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।”

ঘটনার পর আদালতপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়ভার নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে গাফিলতির বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আদালত চত্ত্বর থেকে পালানো আসামী বরগুনা থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৭:৩০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

 

বরগুনা জেলা জজ আদালত চত্ত্বর থেকে পালানো আসামী মোঃ আল আমিন (৩০) অবশেষে পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে। রবিবার (০৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানোর সময় আদালত প্রাঙ্গণে রাখা গাড়ির কাছ থেকে হাতকড়া খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান তিনি।

আদালত পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আল আমিনকে আদালত থেকে বরগুনা জেলা কারাগারে নেওয়ার জন্য এএসআই মোঃ আমিনুল ইসলাম ও তিনজন কনস্টেবলের সমন্বয়ে একটি দল দায়িত্বে ছিল। কিন্তু গাফিলতির সুযোগে আসামী পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইয়াকুব হোসাইন এর নির্দেশে এসআই সোহেলের নেতৃত্বে রাত থেকেই অভিযান চালায়। আজ সন্ধ্যা নাগাত বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের ক্রোক এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে বসে থাকা অবস্থায় আসামী আল আমিনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

আল আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ময়না আক্তার ২০১৭ সালের ৪৮নং পারিবারিক মামলায় রায় পাওয়ার পর ২০১৮ সালে ৩৬নং পারিবারিক ডিক্রি জারী মামলাও দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আল আমিন দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। শনিবার (০২ আগস্ট) রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং রবিবার সকালে আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, “আসামী পালানোর বিষয়টি সত্য। আদালতের আদেশ অনুযায়ী কারাগারে নেওয়ার পথে সে হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা তাকে আবার গ্রেপ্তার করেছি।”

বরগুনা জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. মোঃ আহসান হাবিব স্বপন বলেন, “২০১৮ সালে আমি তার পক্ষে আইনি সহায়তা দিয়েছিলাম। সে জামিনে মুক্তির পর দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। পুলিশের দায়িত্বে গাফিলতির কারণেই সে পালিয়ে যেতে পেরেছে। যথাযথ নিয়মে আসামী হস্তান্তর করলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।”

ঘটনার পর আদালতপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়ভার নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে গাফিলতির বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।