ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি: দীর্ঘ আলোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘ সময় ধরে চলা আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শেষ পর্যন্ত একটি বাণিজ্যিক সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।

স্কটল্যান্ডে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।

চুক্তি অনুসারে, ইউরোপ থেকে আসা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এখন থেকে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য করবে।

বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটল্যান্ডের টার্নবেরিতে অবস্থিত নিজের গলফ রিসোর্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ও ফন ডার লিয়েন একসঙ্গে দাঁড়িয়ে এই চুক্তির ঘোষণা দেন।

ট্রাম্প বলেন, “আজ আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি— এটি খুবই ইতিবাচক ঘটনা। কোনো পক্ষই বাড়তি শর্ত না চাপিয়ে এমন একটি সমঝোতায় পৌঁছানো প্রশংসনীয়।”

চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করবে, যেখানে আগে এই হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, শুল্ক হার ১৫ শতাংশের নিচে নামানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

তিনি আরও বলেন, “এই সমঝোতা আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে এবং একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে উঠবে।”

এই চুক্তিকে ট্রাম্প “এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়” হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্র আরও তিন-চারটি দেশের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তির কথা চিন্তা করছে।

অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সমঝোতার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং মার্কিন জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনবে।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “জ্বালানি খাত আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনও এই চুক্তিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি এমন একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছে, এটি একটি বড় অর্জন, যা দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।”

ফন ডার লিয়েন আরও জানান, এই চুক্তি দুই পক্ষের ব্যবসায় স্থিতিশীলতা ও পূর্বাভাসযোগ্যতা নিশ্চিত করবে— যা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, “আমরা সব ক্ষেত্রেই ১৫ শতাংশ শুল্ক হার কার্যকর করতে একমত হয়েছি। আমি জানতাম এটা সহজ হবে না, কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ বাণিজ্য চুক্তি: দীর্ঘ আলোচনা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় ১০:৩৪:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

 

দীর্ঘ সময় ধরে চলা আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শেষ পর্যন্ত একটি বাণিজ্যিক সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।

স্কটল্যান্ডে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।

চুক্তি অনুসারে, ইউরোপ থেকে আসা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এখন থেকে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য করবে।

বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটল্যান্ডের টার্নবেরিতে অবস্থিত নিজের গলফ রিসোর্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ও ফন ডার লিয়েন একসঙ্গে দাঁড়িয়ে এই চুক্তির ঘোষণা দেন।

ট্রাম্প বলেন, “আজ আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি— এটি খুবই ইতিবাচক ঘটনা। কোনো পক্ষই বাড়তি শর্ত না চাপিয়ে এমন একটি সমঝোতায় পৌঁছানো প্রশংসনীয়।”

চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করবে, যেখানে আগে এই হার ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প জানান, শুল্ক হার ১৫ শতাংশের নিচে নামানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

তিনি আরও বলেন, “এই সমঝোতা আমাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে এবং একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে উঠবে।”

এই চুক্তিকে ট্রাম্প “এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড়” হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্র আরও তিন-চারটি দেশের সঙ্গে একই ধরনের চুক্তির কথা চিন্তা করছে।

অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সমঝোতার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং মার্কিন জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনবে।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “জ্বালানি খাত আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনও এই চুক্তিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি এমন একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছে, এটি একটি বড় অর্জন, যা দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।”

ফন ডার লিয়েন আরও জানান, এই চুক্তি দুই পক্ষের ব্যবসায় স্থিতিশীলতা ও পূর্বাভাসযোগ্যতা নিশ্চিত করবে— যা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, “আমরা সব ক্ষেত্রেই ১৫ শতাংশ শুল্ক হার কার্যকর করতে একমত হয়েছি। আমি জানতাম এটা সহজ হবে না, কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছি।”