০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সিনারকে হারিয়ে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ ডিএমপির অভ্যন্তরীণ রদবদল: ৫ কর্মকর্তার নতুন দায়িত্ব নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব মৌলভীবাজারে বাগানের কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে : ইসি আনোয়ারুল বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের মন্ত্রিসভার পরিকল্পনার ধাপসমূহ ২০২৬ সালে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ সম্মেলন: ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গপসাগর থেকে ১৮ জন অসহায় জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • / 61

ছবি সংগৃহীত

 

চট্টগ্রাম, ২৩ জুলাই ২০২৫: কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ০৪ দিন ভেসে থাকা ‘হাবিবা’ নামক একটি মাছ ধরার ট্রলার ও বিপদগ্রস্থ ১৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই ২০২৫) নৌবাহিনী যুদ্ধ জাহাজ ‘শহীদ ফরিদ’ নিয়মিত টহলে থাকা অবস্থায় মহেশখালী হতে ২৫ মাইল পশ্চিমে একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসমান অবস্থায় খুজে পায়।

এ সময় ট্রলারে অবস্থানরত জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজটিকে দেখতে পেয়ে বিপদ সংকেত প্রদর্শন করতে থাকে যা নৌবাহিনীর নিকট সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় শীঘ্রই জাহাজটি বিপদগ্রস্ত ট্রলারের নিকট ছুটে যায়। ট্রলারটির নিকট পৌঁছানোর পর নৌ সদস্যরা মাঝিদের কাছ থেকে অবগত হন যে, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় বিগত ০৪ দিন যাবৎ তারা গভীর সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। তাদের কাছে অবশিষ্ট খাবার ও বিশুদ্ধ পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের করুণ অবস্থা পরিলক্ষিত করে নৌ সদস্যরা জরুরি ভিত্তিতে তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি প্রদান করেন। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যগণ জেলেসহ ট্রলারটিকে উক্ত স্থান হতে নিরাপদে কুতুবদিয়া এলাকায় পৌঁছে দেয়। এ সময় তাদের প্রয়োজনীয় পানি ও খাবার ছাড়াও জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ট্রলারে থাকা ১৮ জন জেলেই বর্তমানে সুস্থ আছেন। অসহায় জেলেরা তাদের জীবন রক্ষা করার জন্য এবং তাদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য নৌবাহিনীর কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নৌ সদস্যরা জানতে পারেন যে, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা হতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সমুদ্রে গমন করে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, ব্ল-ইকোনমি সংরক্ষণ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত একাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়োজিতকরণের মাধ্যমে সমগ্র বঙ্গোপসাগরে ও উপক‚লীয় এলাকায় দিনরাত টহল পরিচালনা করছে যা ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গপসাগর থেকে ১৮ জন অসহায় জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী

আপডেট সময় ০৭:৩৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

 

চট্টগ্রাম, ২৩ জুলাই ২০২৫: কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ০৪ দিন ভেসে থাকা ‘হাবিবা’ নামক একটি মাছ ধরার ট্রলার ও বিপদগ্রস্থ ১৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই ২০২৫) নৌবাহিনী যুদ্ধ জাহাজ ‘শহীদ ফরিদ’ নিয়মিত টহলে থাকা অবস্থায় মহেশখালী হতে ২৫ মাইল পশ্চিমে একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসমান অবস্থায় খুজে পায়।

এ সময় ট্রলারে অবস্থানরত জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজটিকে দেখতে পেয়ে বিপদ সংকেত প্রদর্শন করতে থাকে যা নৌবাহিনীর নিকট সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় শীঘ্রই জাহাজটি বিপদগ্রস্ত ট্রলারের নিকট ছুটে যায়। ট্রলারটির নিকট পৌঁছানোর পর নৌ সদস্যরা মাঝিদের কাছ থেকে অবগত হন যে, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় বিগত ০৪ দিন যাবৎ তারা গভীর সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। তাদের কাছে অবশিষ্ট খাবার ও বিশুদ্ধ পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের করুণ অবস্থা পরিলক্ষিত করে নৌ সদস্যরা জরুরি ভিত্তিতে তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি প্রদান করেন। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যগণ জেলেসহ ট্রলারটিকে উক্ত স্থান হতে নিরাপদে কুতুবদিয়া এলাকায় পৌঁছে দেয়। এ সময় তাদের প্রয়োজনীয় পানি ও খাবার ছাড়াও জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ট্রলারে থাকা ১৮ জন জেলেই বর্তমানে সুস্থ আছেন। অসহায় জেলেরা তাদের জীবন রক্ষা করার জন্য এবং তাদেরকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য নৌবাহিনীর কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নৌ সদস্যরা জানতে পারেন যে, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা হতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সমুদ্রে গমন করে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, ব্ল-ইকোনমি সংরক্ষণ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত একাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়োজিতকরণের মাধ্যমে সমগ্র বঙ্গোপসাগরে ও উপক‚লীয় এলাকায় দিনরাত টহল পরিচালনা করছে যা ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে।