শার্শার কুলের বাজারে ব্যস্ততার ভিড়, লাভবান হচ্ছেন চাষীরা
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বেলতলা বাজারে এখন কুলের রমরমা বেচাকেনা। শীতকাল থেকে শুরু করে বসন্তের ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এই বাজারে চলে কুলের জমজমাট ব্যবসা। মৌসুমী ফল হিসেবে কুল এখন এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।
প্রতিদিন এ বাজার থেকে ৫-১০টি ট্রাকভর্তি কুল দেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পাঠানো হয়। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কুল বিশেষত থাই আপেল, বলকুল, গাজীপুরী টক এবং বল সুন্দরী জাতের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাইকারি বাজারে থাই আপেল কুলের দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ১৫০ টাকা, বলকুল ৭০ থেকে ১২০ টাকা, গাজীপুরী টক ৪০ থেকে ৭০ টাকা, এবং বল সুন্দরী ৭০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
শার্শা ও কলারোয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কুল চাষ এখন ধান বা অন্যান্য ফসলের জায়গা দখল করছে। এ বছর শার্শা উপজেলায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে কুল চাষ হয়েছে। চাষিরা বলছেন, ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি থাকায় তারা লাভবান হচ্ছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার কুলের ফলন ও দাম দুই-ই বেড়েছে। এতে চাষি ও আড়তদার উভয়ই খুশি। এ অঞ্চলে কুল চাষের এই উজ্জ্বল সম্ভাবনা চাষিদের আর্থিক স্বচ্ছলতার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।