বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘের নতুন মিশন চালু: প্রেস উইং

- আপডেট সময় ০৭:৩৮:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
- / 3
মানবাধিকারের সুরক্ষা ও উন্নয়নে সহায়তা দিতে বাংলাদেশে একটি নতুন মিশন চালু করেছে জাতিসংঘ। এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস (ওএইচসিএইচআর) এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে তিন বছরের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই মিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি নাগরিক সংগঠনকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান, মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জবাবদিহিমূলক কাঠামোকে শক্তিশালী করা।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে পটভূমি হিসেবে উল্লেখ করে প্রেস উইং জানায়, এই মিশন চালুর মধ্য দিয়ে মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি আরও একধাপ এগিয়ে গেল। মিশনটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক বাধ্যবাধকতা পূরণ, আইনি সহায়তা প্রদান এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানে কাঠামোগত উন্নয়নেও সহায়তা করবে।
তবে বিজ্ঞপ্তিতে এক্ষেত্রে সমাজের কিছু অংশের উদ্বেগের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়, বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা একটি শক্তিশালী ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার যেকোনো অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রেই এ মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। জাতিসংঘের মিশনটি এই সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বাস্তবতাকে সম্মান জানিয়ে কেবলমাত্র মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের প্রতিরোধ ও প্রতিকারে কাজ করবে।
প্রেস উইং আরও জানায়, ওএইচসিএইচআরের মিশন দেশের আইনি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে থাকা কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে না। মিশনটি সর্বদা স্বচ্ছভাবে কাজ করবে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাবে। তবে যদি কখনো এই অংশীদারিত্ব জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে সরকার এই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের সার্বভৌম অধিকার সংরক্ষণ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অতীতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা ঘটনায় যদি এ ধরনের মিশন সক্রিয় থাকত, তাহলে অনেক অপরাধ হয়তো তদন্ত ও বিচারের আওতায় আসত। বর্তমান সরকারের মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি শুধু আদর্শ নয়, বরং ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে গড়ে তোলা হচ্ছে।
সরকার এই উদ্যোগকে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার এবং নাগরিকদের অধিকতর সুরক্ষা প্রদানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছে।