ঢাকা ০৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) রাজনৈতিক কর্মসূচি বা বক্তব্যের আগে দলকে হিসেব-নিকেশ করতে হবে: এ্যানি পুলিশের ১১০ কর্মকর্তাকে এসআই থেকে ইন্সপেক্টর পদে উত্তরণ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু, দুর্ভোগে লাখো মানুষ গোয়েন্দা তথ্য ছিল, কিন্তু এমন ব্যাপকতা ধারণা করা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা” কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন রাশিয়া-ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলার তীব্রতা, দুই পক্ষেই হতাহত ভোটার তালিকা সংযোজনসহ তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন অবৈধ ৬২ কোটি টাকার সম্পদের প্রমাণ মিলেছে তারিক সিদ্দিকের: দুদক চকরিয়ায় চুরি করতে গিয়ে পুলিশের স্ত্রীকে ধর্ষণ, আটক ১

কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কাপড় ব্যবসায়ী সৈয়দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র দায়রা জজ মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকি ৬ জন পলাতক।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর কাজিহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুর রউফ, আজিজুল হক, মো. আলাউদ্দিন, মো. কালাম মুন্সি, আয়তুল হক মালাম, আব্দুর রউফের ছেলে হায়দার আলী ও আঙ্গুর মিয়া, আলাউদ্দিনের ছেলে রোয়েল, রাসেল ও সোহেল, আজিজুল হকের ছেলে রেজা মিয়া ও রিয়াদ এবং মৃত কাইয়ুমের ছেলে জহিরুল ইসলাম।

আরেক আসামি আজিজুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ ইহাদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে চলমান রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালতে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়াতপুর ইউনিয়নের দেওপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দুর রহমান পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন। তার সঙ্গে প্রতিবেশী আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ সকালে আসামিরা সেই সীমানা ঘেঁষে গাছ লাগাতে গেলে সৈয়দুর ও তার ভাতিজা ইজাজুল প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়।

ঘটনার জেরে সেদিন রাত ৯টার দিকে নিয়ামতপুর বাসস্ট্যান্ডে ইজাজুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আসামিরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি ওষুধের দোকানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে সৈয়দুর রহমান সেখানে গেলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ঘটনার পর নিহত সৈয়দুর রহমানের বড় বোন পারভীন সুলতানা করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে এটি জখমের মামলা থাকলেও মৃত্যুর পর সেটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়। মামলার তদন্ত শেষে করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই শহর আলী ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরই প্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

কিশোরগঞ্জে ব্যবসায়ী সৈয়দুর হত্যা মামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৭:২৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে কাপড় ব্যবসায়ী সৈয়দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র দায়রা জজ মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকি ৬ জন পলাতক।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর কাজিহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুর রউফ, আজিজুল হক, মো. আলাউদ্দিন, মো. কালাম মুন্সি, আয়তুল হক মালাম, আব্দুর রউফের ছেলে হায়দার আলী ও আঙ্গুর মিয়া, আলাউদ্দিনের ছেলে রোয়েল, রাসেল ও সোহেল, আজিজুল হকের ছেলে রেজা মিয়া ও রিয়াদ এবং মৃত কাইয়ুমের ছেলে জহিরুল ইসলাম।

আরেক আসামি আজিজুল হকের ছেলে আব্দুল্লাহ ইহাদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে চলমান রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালতে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের যাবজ্জীবন দণ্ড দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়াতপুর ইউনিয়নের দেওপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দুর রহমান পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন। তার সঙ্গে প্রতিবেশী আসামিদের দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ সকালে আসামিরা সেই সীমানা ঘেঁষে গাছ লাগাতে গেলে সৈয়দুর ও তার ভাতিজা ইজাজুল প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়।

ঘটনার জেরে সেদিন রাত ৯টার দিকে নিয়ামতপুর বাসস্ট্যান্ডে ইজাজুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আসামিরা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি ওষুধের দোকানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে সৈয়দুর রহমান সেখানে গেলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ঘটনার পর নিহত সৈয়দুর রহমানের বড় বোন পারভীন সুলতানা করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রথমে এটি জখমের মামলা থাকলেও মৃত্যুর পর সেটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়। মামলার তদন্ত শেষে করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন এসআই শহর আলী ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরই প্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ রায় ঘোষণা করা হলো।