০৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

সিলেট সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় দেড় এক কোটির চোরাই পণ্য জব্দ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 47

ছবি: সংগৃহীত

 

সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার অধিক মূল্যের ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সিলেট ব্যাটালিয়নের ৪৮ বিজিবি সদস্যরা এসব পণ্য জব্দ করেন।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ভোর পর্যন্ত চলা একাধিক অভিযানে এসব চোরাই মালামাল জব্দ করা হয় বলে বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪৮ বিজিবি’র সদস্যরা সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ সীমান্তবর্তী সংগ্রাম, তামাবিল, বিছনাকান্দি, প্রতাপপুর, দমদমিয়া ও উৎমা বিওপি এলাকায় অভিযান চালান।

অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে—শাড়ি, স্কিন ব্রাইট ক্রিম, সুপারি, চিনি, বিড়ি, জিরা, টমেটো, সাবান, আইবল ক্যান্ডি, মুভ ক্রিম, ডেরোবিন অয়েন্টমেন্ট, চকলেট, মোটরসাইকেল, মদ ও বিয়ার।

সব মিলিয়ে জব্দকৃত মালামালের মোট আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯০ টাকা।

৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান ও মাদক পাচার প্রতিরোধে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা একাধিক পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ চোরাচালানি পণ্য জব্দ করেছি।”

তিনি আরও জানান, জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্তে চোরাচালান রোধে ভবিষ্যতেও বিজিবির কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবির এমন তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল। তাদের মতে, এই ধরনের ধারাবাহিক অভিযান সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ পণ্য প্রবাহ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিলেট সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় দেড় এক কোটির চোরাই পণ্য জব্দ

আপডেট সময় ০৫:৪৯:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার অধিক মূল্যের ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সিলেট ব্যাটালিয়নের ৪৮ বিজিবি সদস্যরা এসব পণ্য জব্দ করেন।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ভোর পর্যন্ত চলা একাধিক অভিযানে এসব চোরাই মালামাল জব্দ করা হয় বলে বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪৮ বিজিবি’র সদস্যরা সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ সীমান্তবর্তী সংগ্রাম, তামাবিল, বিছনাকান্দি, প্রতাপপুর, দমদমিয়া ও উৎমা বিওপি এলাকায় অভিযান চালান।

অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে—শাড়ি, স্কিন ব্রাইট ক্রিম, সুপারি, চিনি, বিড়ি, জিরা, টমেটো, সাবান, আইবল ক্যান্ডি, মুভ ক্রিম, ডেরোবিন অয়েন্টমেন্ট, চকলেট, মোটরসাইকেল, মদ ও বিয়ার।

সব মিলিয়ে জব্দকৃত মালামালের মোট আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯০ টাকা।

৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান ও মাদক পাচার প্রতিরোধে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা একাধিক পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ চোরাচালানি পণ্য জব্দ করেছি।”

তিনি আরও জানান, জব্দকৃত মালামাল বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। সীমান্তে চোরাচালান রোধে ভবিষ্যতেও বিজিবির কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবির এমন তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল। তাদের মতে, এই ধরনের ধারাবাহিক অভিযান সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ পণ্য প্রবাহ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।