ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

সিরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী ও দ্রুজদের সংঘর্ষে নিহত ৩০, আহত শতাধিক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায় অধ্যুষিত শহর সুইদায় স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র উপজাতি সদস্যদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে রক্তপাত ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত ও ১০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, সোমবার সকালে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সুইদা শহরে স্থানীয় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্রুজ সম্প্রদায়ের সশস্ত্র সদস্যদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও সহিংসতা থামাতে নিরাপত্তা বাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুইদা, চিকিৎসা সূত্রের বরাতে জানায়, সংঘর্ষের কারণে গুরুত্বপূর্ণ দামেস্ক-সুইদা মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা জনদুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। শহরের গভর্নর মুস্তাফা আল-বাকুর জনগণকে ধৈর্য ধরতে এবং দেশের সংস্কারমূলক জাতীয় আহ্বানে সাড়া দিতে অনুরোধ করেছেন।

সুইদা অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যকার রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত। চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসেও এই অঞ্চলে দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বহু প্রাণহানি ঘটে। তবে রবিবারের সহিংসতাই চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকদের মতে, দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক সম্প্রতি আরও টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছে। রাজনৈতিক সংস্কার, অর্থনৈতিক সংকট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি সব মিলিয়ে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আশঙ্কা, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে সুইদায় আরও বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। স্থানীয় জনগণ এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সহনশীলতা ও সংলাপের পরিবেশ তৈরি করাই এখন সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী ও দ্রুজদের সংঘর্ষে নিহত ৩০, আহত শতাধিক

আপডেট সময় ০৩:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

 

সিরিয়ার দ্রুজ সম্প্রদায় অধ্যুষিত শহর সুইদায় স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র উপজাতি সদস্যদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে রক্তপাত ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত ও ১০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, সোমবার সকালে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সুইদা শহরে স্থানীয় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দ্রুজ সম্প্রদায়ের সশস্ত্র সদস্যদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে। মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও সহিংসতা থামাতে নিরাপত্তা বাহিনী সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুইদা, চিকিৎসা সূত্রের বরাতে জানায়, সংঘর্ষের কারণে গুরুত্বপূর্ণ দামেস্ক-সুইদা মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা জনদুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। শহরের গভর্নর মুস্তাফা আল-বাকুর জনগণকে ধৈর্য ধরতে এবং দেশের সংস্কারমূলক জাতীয় আহ্বানে সাড়া দিতে অনুরোধ করেছেন।

সুইদা অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যকার রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত। চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসেও এই অঞ্চলে দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বহু প্রাণহানি ঘটে। তবে রবিবারের সহিংসতাই চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকদের মতে, দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক সম্প্রতি আরও টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েছে। রাজনৈতিক সংস্কার, অর্থনৈতিক সংকট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি সব মিলিয়ে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আশঙ্কা, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনলে সুইদায় আরও বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। স্থানীয় জনগণ এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সহনশীলতা ও সংলাপের পরিবেশ তৈরি করাই এখন সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।