৫০ দিনের মধ্যে যদি যুদ্ধবিরতির চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর শতভাগ শুল্ক: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

- আপডেট সময় ১২:১২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
- / 7
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করা হবে ন্যাটোর মাধ্যমে। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে যদি যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তি না হয়, তবে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায় জড়িত দেশগুলোর ওপর শতভাগ ‘সেকেন্ডারি ট্যারিফ’ আরোপ করা হবে।
ওয়াশিংটনে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেন যেন তার আত্মরক্ষার অধিকার ব্যবহার করতে পারে, সেটিই যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করতে চায়। রুটে জানান, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেসবের প্রতিস্থাপন সরবরাহ করবে। তিনি জানান, এই চুক্তির আওতায় ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে কোন অস্ত্র ঠিক কখন পাঠানো হবে, তা বিস্তারিত বলা হয়নি।
ট্রাম্প জানান, অত্যাধুনিক অস্ত্র দ্রুত ইউক্রেনীয় সেনাদের হাতে পৌঁছে যাবে এবং এই সহায়তার মূল্য বিলিয়ন ডলারের বেশি। তিনি আরও বলেন, যদি ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখে, তবে ভারতের পণ্যে শতভাগ আমদানি শুল্ক বসানো হবে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে এবং মার্কিন ব্যবসায়ীরা ভারত ছেড়ে অন্য দেশে নজর দেবে, যা ভারতের আয় কমাবে এবং রাশিয়ার অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলবে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার রপ্তানির ৬০ শতাংশ এবং প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রাজস্ব আসে তেল ও গ্যাস থেকে। ফলে শুল্ক ব্যবস্থা কার্যকর হলে মস্কোর অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেতে পারে। তবে ট্রাম্পের ঘোষণার পর মস্কো স্টক এক্সচেঞ্জ উর্ধ্বমুখী হয়েছে।
এই সহায়তা ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার সম্ভাব্য প্রশাসনের প্রথম ইউক্রেন সংশ্লিষ্ট সামরিক ঘোষণা হিসেবে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে পুতিনের প্রতি তার ভাষা আগের চেয়ে কঠোর হয়েছে। তবে তিনি বলেন, ইউক্রেনও কিছু ক্ষেত্রে আক্রমণের জন্য আংশিক দায়ী।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপের বিষয়টি জানান এবং তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেনের মানুষের নিরাপত্তা এবং প্রতিরোধকে জোরদার করার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
রুশ রাজনীতিকদের প্রতিক্রিয়া মিশ্র। কেউ একে ‘ব্লাফ’ বলছেন, আবার কেউ এটিকে ‘রাজনৈতিক নাটক’ হিসেবে দেখছেন। তবে পশ্চিমা রাজনীতিকরা মনে করছেন, ইউরোপীয় অংশীদারদের এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেনে বহু জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে।
সূত্র: বিবিসি