শীর্ষ নেতৃত্বকে হেয় করতেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে ব্যবহার করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

- আপডেট সময় ০৪:১৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / 5
মিটফোর্ডে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কি-না, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকারে না থাকলেও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে মিছিল করা এবং তাতে অশ্লীল ও উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়া দেশের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক পরিবেশকে আবারো ফ্যাসিবাদের যুগে ফিরিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা তৈরি করছে।”
তিনি জানান, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত ও তথ্যানুসন্ধানী কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এই কমিটি প্রকৃত তথ্য সামনে এনে জনগণের কাছে প্রকাশ করবে বলে জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বিভিন্ন সময় দেশে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নাম জড়িয়ে তাদের চরিত্রহননের অপচেষ্টা চলছে। মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডও এমন একটি পরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ কি-না, তা সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “কয়েকটি দলের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে বাংলাদেশ ব্যর্থ হতে পারে না। দেশে ফ্যাসিবাদী অনুপ্রবেশ ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার আছি এবং থাকবো।”
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল কুরুচিপূর্ণ ভাষায় বিএনপি এবং শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার সমর্থিত একটি মহল পরিকল্পিতভাবে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাচ্ছে এবং জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয় যে, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে বিপদে ফেলার একটি গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে, এবং এই ষড়যন্ত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই প্রতিফলন।