ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা নারী ক্ষমতায়নে বিএনপি বরাবরই সহায়ক: সালাহউদ্দিন আহমদ সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩০ জন জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই হবে: আইন উপদেষ্টা

ময়মনসিংহে বাড়ি থেকে একই পরিবারের মা ও দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি: সংগৃহীত

 

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড। উপজেলার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের মা ও তার দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন—রফিক উদ্দিনের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), তাদের কন্যা রাইসা (৪) এবং পুত্র নীরব (২)।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে বাড়ির ভেতরে ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, সকালে দীর্ঘ সময় বাড়ির কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখা যায়—ঘরের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তিনজনের নিথর দেহ। দ্রুত বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রত্যেকের গলা কাটা ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, রাতের কোনো এক সময় এ নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সকালে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার পেছনের কারণ বা কারা জড়িত—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।”

তিনি আরও জানান, বাড়িটিতে ময়না বেগম ও তার দুই সন্তান ছাড়া কেউ থাকতেন না। নিহতদের স্বামী রফিক উদ্দিন কোথায় ছিলেন বা তার সঙ্গে শেষবার কবে যোগাযোগ হয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।

এদিকে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, ময়না বেগম শান্ত স্বভাবের নারী ছিলেন এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। এমন ভয়ানক পরিণতির পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না।

ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে পিবিআই ও সিআইডির সদস্যরা এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ময়মনসিংহে বাড়ি থেকে একই পরিবারের মা ও দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০১:২১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড। উপজেলার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের মা ও তার দুই শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন—রফিক উদ্দিনের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), তাদের কন্যা রাইসা (৪) এবং পুত্র নীরব (২)।

সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে বাড়ির ভেতরে ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, সকালে দীর্ঘ সময় বাড়ির কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয়। পরে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখা যায়—ঘরের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে তিনজনের নিথর দেহ। দ্রুত বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রত্যেকের গলা কাটা ছিল। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, রাতের কোনো এক সময় এ নির্মম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “সকালে স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার পেছনের কারণ বা কারা জড়িত—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।”

তিনি আরও জানান, বাড়িটিতে ময়না বেগম ও তার দুই সন্তান ছাড়া কেউ থাকতেন না। নিহতদের স্বামী রফিক উদ্দিন কোথায় ছিলেন বা তার সঙ্গে শেষবার কবে যোগাযোগ হয়েছিল, তা নিয়েও তদন্ত চলছে।

এদিকে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা বলছেন, ময়না বেগম শান্ত স্বভাবের নারী ছিলেন এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। এমন ভয়ানক পরিণতির পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না।

ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যে পিবিআই ও সিআইডির সদস্যরা এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। মরদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।