ইসির ১৬ নির্দেশনা
২০ জানুয়ারি থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের উদ্যোগ নিচ্ছে। এই কার্যক্রম ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এক পরিপত্রে ইসি এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছে।
এই কর্মসূচির অধীনে ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণকারী ও পূর্ববর্তী হালনাগাদে বাদ পড়া ভোটারদের তালিকাভুক্ত করা হবে। একইসঙ্গে মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া, স্থানান্তর আবেদন প্রক্রিয়া এবং তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কর্মসূচির বিশেষ নির্দেশনাগুলো হচ্ছে:
১. ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী ও পূর্ববর্তী হালনাগাদে বাদ পড়াদের তথ্য সংগ্রহ।
২. তথ্য সংগ্রহের আগে ভোটার তালিকায় থাকা-না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
৩. বাদ পড়ার কারণ যাচাই করে তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করা।
৪. নামের সঙ্গে পেশা, খেতাব বা পদবি যুক্ত না করা।
৫. বাংলা নামের সঠিক ইংরেজি বানান লিপিবদ্ধ করা।
৬. অনুপস্থিত ব্যক্তিদের তথ্য রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করা।
৭. নিবন্ধন ফরম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন স্লিপ প্রদান।
৮. সুপারভাইজার কর্তৃক তদারকি ও নমুনা যাচাই।
৯. ফরমের কিছু অংশ দৈবচয়নে যাচাই ও ভুল সং শোধন করা।
১০. নারীদের তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করা।
১১. নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
১২. বিশেষ এলাকার তথ্য যাচাই করে অন্তর্ভুক্তি।
১৩. স্থানান্তরের আবেদন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা।
১৪. মৃত ভোটারের নাম কর্তনে সতর্কতা অবলম্বন করা।
১৫. সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর স্পষ্ট উল্লেখ রাখা।
১৬. রোহিঙ্গা ও ভিনদেশীদের তথ্য সংগ্রহে কঠোর নিষেধ পালন করা।