ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনের অভাবেই দেশে অস্থিরতা, দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা: মির্জা ফখরুল সেন্ট মার্টিন রক্ষায় পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনায় জোর দিচ্ছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা নতুন যুগোপযোগী টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নের ঘোষণা, বাতিল পুরনো নীতি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে বোগোটায় বৈঠকে ২০টির বেশি দেশ “দেশ এখনও সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়”: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো একটি অদৃশ্য চক্র সক্রিয়ভাবে ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান শুল্কযুদ্ধের ছায়ায় কফি-কমলার বাজার, দুশ্চিন্তায় ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা ২-৩টি আসনের প্রস্তাব ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এনসিপি কেনার সাধ্য কারো নেই: নাহিদ ইসলাম গণতন্ত্রকে বিপথে নিতে সংস্কারের নামে সূক্ষ্ম কারচুপি চলছে: ১২ দলীয় জোট প্রধান ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: টিটন গাজীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের চিন্তা সরকারের: ত্রাণ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

ফেনীর দীর্ঘদিনের বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে সরকার। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর ওপর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে ৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে ফেনীর পুরাতন মুন্সীরহাট এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, “ফেনীর উত্তরের দীর্ঘস্থায়ী বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘমেয়াদে ফেনীবাসী বন্যার ভয় থেকে মুক্তি পাবে।”

পরিদর্শনকালে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা বন্যাদুর্গত মানুষজন খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ঘাটতির কথা তুলে ধরে উপদেষ্টার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এদিকে, ফেনীর সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় পানি নামতে শুরু করলেও ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার নিচু এলাকাগুলো এখনো পানির নিচে। প্রায় ৩০টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজারের বেশি মৎস্য ঘের ও পুকুর এবং ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর আমন বীজতলা। প্রাণিসম্পদ খাতে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা। এছাড়া, সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বেশ গুরুতর।

স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জরুরি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তবে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ ও নদী শাসনের মাধ্যমে বন্যা প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন কার্যকর সমন্বয় ও দ্রুত বাস্তবায়ন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের চিন্তা সরকারের: ত্রাণ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০১:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

ফেনীর দীর্ঘদিনের বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে সরকার। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর ওপর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে ৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

শনিবার (১২ জুলাই) সকালে ফেনীর পুরাতন মুন্সীরহাট এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা বলেন, “ফেনীর উত্তরের দীর্ঘস্থায়ী বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘমেয়াদে ফেনীবাসী বন্যার ভয় থেকে মুক্তি পাবে।”

পরিদর্শনকালে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা বন্যাদুর্গত মানুষজন খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ঘাটতির কথা তুলে ধরে উপদেষ্টার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এদিকে, ফেনীর সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় পানি নামতে শুরু করলেও ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার নিচু এলাকাগুলো এখনো পানির নিচে। প্রায় ৩০টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজারের বেশি মৎস্য ঘের ও পুকুর এবং ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর আমন বীজতলা। প্রাণিসম্পদ খাতে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকা। এছাড়া, সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বেশ গুরুতর।

স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জরুরি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তবে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ ও নদী শাসনের মাধ্যমে বন্যা প্রতিরোধে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন কার্যকর সমন্বয় ও দ্রুত বাস্তবায়ন।