ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩৯১ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ সরকার কখনও মব জাস্টিসকে বরদাশত করে না: পরিবেশ উপদেষ্টা নির্বাচনে সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: উপ-প্রেস সচিব বাংলাদেশ সফরে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস যাত চাঁদাবাজি নয়, টাকার লেনদেনের বিরোধেই খুন হন সোহাগ: পুলিশের তদন্ত কিউবার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, উত্তপ্ত হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক টিএসসিতে ‘রাজনৈতিক হত্যা স্কোরবোর্ড’ বসানোর ঘোষণা ছাত্র অধিকার পরিষদের মায়ানমারের মঠে জান্তার ভয়াবহ বিমান হামলায় শিশুসহ ২২ জনের মৃত্যু জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনী বিজিবির যৌথ অভিযানে ভারতীয় কফি আটক

ভারতের গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১, নিখোঁজ একজন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

 

ভারতের গুজরাট রাজ্যের মহিসাগর নদীর ওপর গম্ভীরা সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন একজন। দুর্ঘটনার তিন দিন পরও চলছে উদ্ধার তৎপরতা, তবে সালফিউরিক অ্যাসিড ভর্তি একটি ট্যাংকার নদীতে পড়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

বুধবার সকালে গুজরাটের বডোদরায় ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সেতু ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক যানবাহন নদীতে পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় গুজরাট সরকার ২১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তিও শুক্রবার সকালে মারা যান।

এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ২০টি মরদেহ। নিখোঁজ একজনের সন্ধানে তৃতীয় দিনের মতো চলছে তল্লাশি। তবে নদীতে পড়া একটি ট্যাংকারে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড জলেভেসে গিয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে উদ্ধারকারীদের চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।

বডোদরার কালেক্টর অনিল ধামেলিয়া জানান, ট্যাংকারে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড পানিতে মিশে যাওয়ায় উদ্ধারকারীদের জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও চামড়ার জটিলতায় ভুগতে হচ্ছে। নদীর জলে সোডা অ্যাশ মেশার কারণেও সমস্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে।

এই সেতু দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, মধ্য গুজরাট ও সৌরাষ্ট্রের যোগাযোগের অন্যতম ভরসা ছিল গম্ভীরা সেতু। আনন্দ, বডোদরা, ভারুচ, আঙ্কলেশ্বরের বহু মানুষ প্রতিদিন এই সেতু ব্যবহার করতেন। তবে ৪০ বছর পুরনো এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে চরম অবহেলা ছিল বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সেতু ভেঙে পড়ার কারণ খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গুজরাট সরকার। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চারজন সরকারি প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পাটেল।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের গুজরাটে সেতু ভেঙে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১, নিখোঁজ একজন

আপডেট সময় ১০:০০:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

 

ভারতের গুজরাট রাজ্যের মহিসাগর নদীর ওপর গম্ভীরা সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন একজন। দুর্ঘটনার তিন দিন পরও চলছে উদ্ধার তৎপরতা, তবে সালফিউরিক অ্যাসিড ভর্তি একটি ট্যাংকার নদীতে পড়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

বুধবার সকালে গুজরাটের বডোদরায় ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সেতু ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক যানবাহন নদীতে পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় গুজরাট সরকার ২১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তিও শুক্রবার সকালে মারা যান।

এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ২০টি মরদেহ। নিখোঁজ একজনের সন্ধানে তৃতীয় দিনের মতো চলছে তল্লাশি। তবে নদীতে পড়া একটি ট্যাংকারে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড জলেভেসে গিয়ে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে উদ্ধারকারীদের চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।

বডোদরার কালেক্টর অনিল ধামেলিয়া জানান, ট্যাংকারে থাকা সালফিউরিক অ্যাসিড পানিতে মিশে যাওয়ায় উদ্ধারকারীদের জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও চামড়ার জটিলতায় ভুগতে হচ্ছে। নদীর জলে সোডা অ্যাশ মেশার কারণেও সমস্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে।

এই সেতু দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, মধ্য গুজরাট ও সৌরাষ্ট্রের যোগাযোগের অন্যতম ভরসা ছিল গম্ভীরা সেতু। আনন্দ, বডোদরা, ভারুচ, আঙ্কলেশ্বরের বহু মানুষ প্রতিদিন এই সেতু ব্যবহার করতেন। তবে ৪০ বছর পুরনো এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে চরম অবহেলা ছিল বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সেতু ভেঙে পড়ার কারণ খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে গুজরাট সরকার। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর চারজন সরকারি প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পাটেল।

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।