০২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করল বিএসএফ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / 180

ছবি সংগৃহীত

 

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে আবারও ২১ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে সীমান্তের ১১৪৮/৪ এস পিলারের কাছাকাছি আড়াপাড়া এলাকা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের এবং ২ জন পুরুষ রয়েছেন। পুশ-ইনের পরপরই বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করে।

বিজ্ঞাপন

আটক ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম, ঢাকার নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, খিলগাঁও, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে।

আটক তৃতীয় লিঙ্গের একজন, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা সানজানা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি দালালের মাধ্যমে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সম্প্রতি দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ। এরপর বিএসএফ তাদের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে।

নেত্রকোনা ৩১ বিজিবির বিজয়পুর বিওপির কম্পানি কমান্ডার শহীদুল ইসলাম বলেন, “আটক ব্যক্তিদের কেউ ১ বছর, কেউ ২ বছর, আবার কেউ ১০ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। তারা মূলত দিল্লিতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাদের আটক করে বিএসএফ আমাদের সীমান্তে ঠেলে দেয়।”

তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে এ ধরনের পুশ-ইনের ঘটনা ঘটছে, যা কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক। এতে মানবিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নিয়মিত পুশ-ইনের ঘটনায় দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করল বিএসএফ

আপডেট সময় ০২:২৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে আবারও ২১ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে সীমান্তের ১১৪৮/৪ এস পিলারের কাছাকাছি আড়াপাড়া এলাকা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্রে জানা গেছে, পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের এবং ২ জন পুরুষ রয়েছেন। পুশ-ইনের পরপরই বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করে।

বিজ্ঞাপন

আটক ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম, ঢাকার নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, খিলগাঁও, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে।

আটক তৃতীয় লিঙ্গের একজন, নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা সানজানা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে তিনি দালালের মাধ্যমে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সম্প্রতি দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ। এরপর বিএসএফ তাদের বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে।

নেত্রকোনা ৩১ বিজিবির বিজয়পুর বিওপির কম্পানি কমান্ডার শহীদুল ইসলাম বলেন, “আটক ব্যক্তিদের কেউ ১ বছর, কেউ ২ বছর, আবার কেউ ১০ বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন। তারা মূলত দিল্লিতে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তাদের আটক করে বিএসএফ আমাদের সীমান্তে ঠেলে দেয়।”

তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে এ ধরনের পুশ-ইনের ঘটনা ঘটছে, যা কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক। এতে মানবিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, নিয়মিত পুশ-ইনের ঘটনায় দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন।