০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

কলটি বিবিসি উদ্ধার করেনি, এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি: চিফ প্রসিকিউটর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 86

ছবি সংগৃহীত

 

জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এমন একটি অডিও কল প্রকাশ্যে এনেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। কল রেকর্ডটি ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনার ঝড়।

তবে এই কল রেকর্ডের উৎস নিয়ে উঠেছে ভিন্নমত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম দাবি করেছেন, কলটি বিবিসি নয়, উদ্ধার করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৯ জুলাই) নিজের ফেসবুক পোস্টে অ্যাডভোকেট তাজুল লেখেন, ‘মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। নিজের চোখেই দেখে নিন। তবে এই কল রেকর্ডটি বিবিসি উদ্ধার করেনি- করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা। এটা ট্রেলার মাত্র। অনেক কিছু এখনো বাকি। অপেক্ষায় থাকুন।’

অন্যদিকে, বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কল রেকর্ডটি এসেছে বাংলাদেশ সরকারের টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)-এর সূত্রে। তবে এটি কে বা কারা ফাঁস করেছেন, সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত নয়।

বিবিসি জানিয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে কলটির সত্যতা যাচাই করেছে। অডিওটি পাঠানো হয়েছে যুক্তরাজ্যের অডিও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সংস্থা Earshot-এর কাছে। সংস্থাটি জানায়, রেকর্ডিংটিতে কোনো ধরনের সম্পাদনা, বিকৃতি বা এআই প্রযুক্তির ব্যবহার পাওয়া যায়নি।

Earshot আরও জানায়, রেকর্ডিংটিতে ইলেকট্রিক নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সি (ENF) সিগন্যাল শনাক্ত হয়েছে, যা সাধারণত প্রকৃত সময়েই রেকর্ড হওয়া অডিওতে পাওয়া যায়। এতে করে প্রমাণ হয়, অডিওটি কোনোভাবেই কৃত্রিম বা জাল নয়।

এখনো পর্যন্ত এই অডিও নিয়ে সরকারপক্ষের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

কল রেকর্ডটি যদি সত্যিই প্রমাণিত হয়, তাহলে এটি হবে দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ এবং ন্যায়বিচারের দৃষ্টিকোণে অগ্রণী দলিল মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকেরা।

ঘটনার পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান ও সত্য উদ্ঘাটনের জন্য এখন অপেক্ষা করছে পুরো জাতি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কলটি বিবিসি উদ্ধার করেনি, এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি: চিফ প্রসিকিউটর

আপডেট সময় ০৭:৩৪:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এমন একটি অডিও কল প্রকাশ্যে এনেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। কল রেকর্ডটি ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনার ঝড়।

তবে এই কল রেকর্ডের উৎস নিয়ে উঠেছে ভিন্নমত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম দাবি করেছেন, কলটি বিবিসি নয়, উদ্ধার করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৯ জুলাই) নিজের ফেসবুক পোস্টে অ্যাডভোকেট তাজুল লেখেন, ‘মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। নিজের চোখেই দেখে নিন। তবে এই কল রেকর্ডটি বিবিসি উদ্ধার করেনি- করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা। এটা ট্রেলার মাত্র। অনেক কিছু এখনো বাকি। অপেক্ষায় থাকুন।’

অন্যদিকে, বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কল রেকর্ডটি এসেছে বাংলাদেশ সরকারের টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)-এর সূত্রে। তবে এটি কে বা কারা ফাঁস করেছেন, সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত নয়।

বিবিসি জানিয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে কলটির সত্যতা যাচাই করেছে। অডিওটি পাঠানো হয়েছে যুক্তরাজ্যের অডিও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সংস্থা Earshot-এর কাছে। সংস্থাটি জানায়, রেকর্ডিংটিতে কোনো ধরনের সম্পাদনা, বিকৃতি বা এআই প্রযুক্তির ব্যবহার পাওয়া যায়নি।

Earshot আরও জানায়, রেকর্ডিংটিতে ইলেকট্রিক নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সি (ENF) সিগন্যাল শনাক্ত হয়েছে, যা সাধারণত প্রকৃত সময়েই রেকর্ড হওয়া অডিওতে পাওয়া যায়। এতে করে প্রমাণ হয়, অডিওটি কোনোভাবেই কৃত্রিম বা জাল নয়।

এখনো পর্যন্ত এই অডিও নিয়ে সরকারপক্ষের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।

কল রেকর্ডটি যদি সত্যিই প্রমাণিত হয়, তাহলে এটি হবে দেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ এবং ন্যায়বিচারের দৃষ্টিকোণে অগ্রণী দলিল মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকেরা।

ঘটনার পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান ও সত্য উদ্ঘাটনের জন্য এখন অপেক্ষা করছে পুরো জাতি।