ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার সহজ ও ঘরোয়া উপায় ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪০৬ জন হত্যা ও খুন মামলাসহ পুরনো মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল বিদেশফেরত রংমিস্ত্রি থেকে সফল কৃষি উদ্যোক্তা: আফজাল শেখের রাম্বুটান বিপ্লব কলটি বিবিসি উদ্ধার করেনি, এটা ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি: চিফ প্রসিকিউটর ১ লাখ শিক্ষক নিয়োগে পুলিশের ভেরিফিকেশন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা দুর্নীতিবাজ, দখলদার ও চাঁদাবাজদের না বলুন, যারা ওদের পক্ষে তাঁদের বয়কট করুন: নাহিদ ইসলাম রাজস্থানে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত দুই পাইলট বাগেরহাটে ডাকাতিকৃত মালামাল সহ ৭ ডাকাত আটক বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ঘনিষ্ঠতায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রধান

ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিলো ডব্লিউএইচও

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

টানা বৃষ্টিতে রাজধানীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এডিস মশার উপদ্রব। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ। চলতি মৌসুমেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।

এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় সহায়তা হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এসব সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়।

ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে হস্তান্তরকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৮টি পোর্টেবল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ২১টি বেডসাইড হেমাটোক্রিট মেশিন এবং ১ হাজার ৬০০ পিস অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।

সভা শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, “ডেঙ্গুর প্রকৃতি বদলে গেছে। এখন রোগীদের মধ্যে জটিলতা বেশি দেখা দিচ্ছে। অনেক সময় রোগীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। এসব সরঞ্জাম ডেঙ্গু রোগীদের উন্নত চিকিৎসা ও দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “চলতি মৌসুমে বরগুনায় ডেঙ্গু আউটব্রেক হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সবচেয়ে জরুরি হলো জনসচেতনতা বাড়ানো।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডব্লিউএইচও প্রতিনিধিরা জানান, বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সরকারের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি জমে থাকায় এডিস মশার বিস্তার বেড়েছে। এর ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ এবং সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিকিৎসা সরঞ্জাম দিলো ডব্লিউএইচও

আপডেট সময় ০৫:৫০:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

টানা বৃষ্টিতে রাজধানীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে এডিস মশার উপদ্রব। একই সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ। চলতি মৌসুমেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।

এমন পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনায় সহায়তা হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এসব সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়।

ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে হস্তান্তরকৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৮টি পোর্টেবল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, ২১টি বেডসাইড হেমাটোক্রিট মেশিন এবং ১ হাজার ৬০০ পিস অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।

সভা শেষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, “ডেঙ্গুর প্রকৃতি বদলে গেছে। এখন রোগীদের মধ্যে জটিলতা বেশি দেখা দিচ্ছে। অনেক সময় রোগীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। এসব সরঞ্জাম ডেঙ্গু রোগীদের উন্নত চিকিৎসা ও দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

তিনি আরও বলেন, “চলতি মৌসুমে বরগুনায় ডেঙ্গু আউটব্রেক হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সবচেয়ে জরুরি হলো জনসচেতনতা বাড়ানো।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডব্লিউএইচও প্রতিনিধিরা জানান, বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা সরকারের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি জমে থাকায় এডিস মশার বিস্তার বেড়েছে। এর ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই প্রয়োজন সম্মিলিত উদ্যোগ এবং সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা।