ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে কর্মকর্তাদের জন্য ভয়ের কিছু নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান বধিরতা জয় করল বিজ্ঞান: শ্রবণশক্তি ফেরাতে জিন থেরাপির নতুন কৌশল লালমনিরহাটে স্কুলের ক্লাসরুম থেকে দপ্তরির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ৭ম দিনে নাটোরে এনসিপির জুলাই পদ যাত্রা শুরু নীলফামারীতে ট্রাক্টরের চাপায় ইজিবাইক যাত্রী নিহত আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে: জাতিসংঘ মহাসচিব যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে মূল্যস্ফীতির হার কমছে: প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে আমরা কোনো বক্তব্য করিনি: নাহিদ ইসলাম রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংশোধনী প্রস্তাব আনছে ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ

ককটেল বিস্ফোরণে উত্তপ্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গ্রেফতার ৩

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাতেন খাঁর মোড়ের একটি চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশের অভিযানে ৩ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, জেলার আরামবাগ ও চুনারীপাড়া এলাকার যুবকদের মধ্যে চায়ের দোকানে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিকেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এরই ধারাবাহিকতায় রাতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে ওই চায়ের দোকানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর কয়েকজন যুবককে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যদিও এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

রোববার (৬ জুলাই) রাতের দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন জেলার আরামবাগ এলাকার মো. কাবিরের ছেলে মাহমুদ ওরফে মাহমুদ কানা (২০), মো. শাহিনের ছেলে রাতুল (২০) এবং মো. মানিকের ছেলে মুসা (১৭)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসএম ওয়াসিম ফিরোজ জানান, চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জেরে প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন রাতে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নতুন করে কোনো সহিংসতা এড়াতে এলাকায় টহল জোরদার করেছে প্রশাসন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ককটেল বিস্ফোরণে উত্তপ্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় ১২:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাতেন খাঁর মোড়ের একটি চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশের অভিযানে ৩ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, জেলার আরামবাগ ও চুনারীপাড়া এলাকার যুবকদের মধ্যে চায়ের দোকানে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং বিকেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এরই ধারাবাহিকতায় রাতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে ওই চায়ের দোকানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর কয়েকজন যুবককে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, যদিও এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

রোববার (৬ জুলাই) রাতের দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন জেলার আরামবাগ এলাকার মো. কাবিরের ছেলে মাহমুদ ওরফে মাহমুদ কানা (২০), মো. শাহিনের ছেলে রাতুল (২০) এবং মো. মানিকের ছেলে মুসা (১৭)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসএম ওয়াসিম ফিরোজ জানান, চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জেরে প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন রাতে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় নতুন করে কোনো সহিংসতা এড়াতে এলাকায় টহল জোরদার করেছে প্রশাসন।