ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ শিক্ষার্থীদের করা উচিত নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা জলমহাল নীতিমালা পরিবর্তন করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাবে অগ্রাধিকার: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক পেতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু: শারমিন মুরশিদ চীন ও তুরস্কের সহায়তার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দৃষ্টান্ত: আসিফ মাহমুদ সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪৫৪ জন গ্রেপ্তার সব শ্রেণির মানুষের রক্ত-ঘামে জুলাই বিপ্লবের সাফল্য: আসিফ মাহমুদ ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

৪ বছরের শিশুকে খুন করে খালে ভাসাল বাবা, অতঃপর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মনখালী গ্রামে চার বছরের কন্যাশিশুকে হত্যার পর লাশ খালে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে একজন বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার মনখালীর কোনারপাড়ায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহত শিশুর নাম কানিজ ফাতেমা। ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে পুলিশ খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা জোসনা আক্তার শনিবার মধ্যরাতে স্বামী আমান উল্লাহর (৩৩) বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ রাতেই আমানকে গ্রেপ্তার করে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমান মাদকাসক্ত এবং অতীতে মাদক সেবনের অভিযোগে জেল খেটেছেন। পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে শনিবার রাতে নিজের চার বছরের মেয়েকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন তিনি। পরে লাশ পাশের খালে ফেলে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমানকে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শিশুর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।

আজ রোববার সকালে আমান উল্লাহকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়, সেখান থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শিশুটির মা জোসনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করতেন এবং মাদকের কারণে আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি স্বামীর ভয়াবহ আচরণে সন্তানদের নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকতেন।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক দুর্জয় সরকার জানান, ঘটনার পর আমান উল্লাহ লাশ খালের পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে নিজ বাড়ির খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

৪ বছরের শিশুকে খুন করে খালে ভাসাল বাবা, অতঃপর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০২:১৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

 

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার মনখালী গ্রামে চার বছরের কন্যাশিশুকে হত্যার পর লাশ খালে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে একজন বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার মনখালীর কোনারপাড়ায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, নিহত শিশুর নাম কানিজ ফাতেমা। ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে পুলিশ খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা জোসনা আক্তার শনিবার মধ্যরাতে স্বামী আমান উল্লাহর (৩৩) বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ রাতেই আমানকে গ্রেপ্তার করে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমান মাদকাসক্ত এবং অতীতে মাদক সেবনের অভিযোগে জেল খেটেছেন। পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে শনিবার রাতে নিজের চার বছরের মেয়েকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন তিনি। পরে লাশ পাশের খালে ফেলে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমানকে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত শিশুর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।

আজ রোববার সকালে আমান উল্লাহকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়, সেখান থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শিশুটির মা জোসনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করতেন এবং মাদকের কারণে আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি স্বামীর ভয়াবহ আচরণে সন্তানদের নিয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকতেন।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক দুর্জয় সরকার জানান, ঘটনার পর আমান উল্লাহ লাশ খালের পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে নিজ বাড়ির খাটের নিচে লুকিয়ে ছিলেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।