ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাপানের সহায়তা ও বিনিয়োগে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান সংস্কার সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, দ্রুত নির্বাচনের আশা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৪৪৩ যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিচার ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: জামায়াতে নায়েবে আমির তিন দফা দাবিতে উত্তাল রুয়েট নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর সুনামগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

থানায় সংঘবদ্ধ হামলায় সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি ছিনতাই, ওসিসহ আহত অন্তত ২০

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

 

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে পুলিশের হাত থেকে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার (২ জুলাই) রাতের এই হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২০০ থেকে ২৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হঠাৎ থানার ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করে। তারা থানার চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তছনছ করে ফেলে। হামলাকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে থানার জানালার কাঁচ ও দরজাও ভেঙে ফেলে।

এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে লালমনিরহাট, হাতিবান্ধা ও কালীগঞ্জ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য এবং সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, হামলায় গুরুতর আহত দুই পুলিশ সদস্যকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তিনি নিজে ও আরও ছয়জন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা পুলিশের কাছ থেকে জোরপূর্বক হাজতখানার তালার চাবি ছিনিয়ে নিয়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি বেলাল হোসেন ও সোহেল রানা চপলকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়। স্থানীয়দের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসন জানিয়েছে, থানায় হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

থানায় সংঘবদ্ধ হামলায় সাজাপ্রাপ্ত ২ আসামি ছিনতাই, ওসিসহ আহত অন্তত ২০

আপডেট সময় ০৫:২৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে পুলিশের হাত থেকে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার (২ জুলাই) রাতের এই হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২০০ থেকে ২৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হঠাৎ থানার ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করে। তারা থানার চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র তছনছ করে ফেলে। হামলাকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়ে থানার জানালার কাঁচ ও দরজাও ভেঙে ফেলে।

এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা করলে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে লালমনিরহাট, হাতিবান্ধা ও কালীগঞ্জ থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য এবং সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, হামলায় গুরুতর আহত দুই পুলিশ সদস্যকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তিনি নিজে ও আরও ছয়জন পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ওসি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা পুলিশের কাছ থেকে জোরপূর্বক হাজতখানার তালার চাবি ছিনিয়ে নিয়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি বেলাল হোসেন ও সোহেল রানা চপলকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়। স্থানীয়দের মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসন জানিয়েছে, থানায় হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।