ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভুয়া মামলার প্রবণতা রোধে সিআরপিসিতে নতুন ধারা যুক্ত হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা বরিশালে পলিথিন প্যাঁচানো হাত পা বাঁধা নারী উদ্ধার ভারতের উত্তরাখণ্ড ভূমিধসে ৯ শ্রমিক নিখোঁজ, চলছে উদ্ধার অভিযান আজ অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন এনবিআরের আন্দোলনকারীরা শেরপুরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার, নারী আটক জৈন্তাপুর ৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করলো পুলিশ বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন, দেশের বাজারেও কমলো মূল্য ইসরাইলে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে ফের বিক্ষোভ, সাহসী সিদ্ধান্তের আহ্বান ক্ষমতায় এসে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে: বিএনপি নেতা রিজভী ভিজিট ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিল সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তর

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক মানুষ। শনিবার (২৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে হামাসের অধীনস্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের কর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের একটি স্টেডিয়ামের কাছে চালানো হামলায় শিশু সহ অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। স্টেডিয়ামটিতে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুচ্যুত অসংখ্য মানুষ, যা সাময়িক শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

বিবিসির যাচাইকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্থানীয়রা খালি হাতে কিংবা কোদাল দিয়ে বালু সরিয়ে মরদেহ বের করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। হামলার মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “তারা রাস্তার পাশে বসে ছিলেন। হঠাৎ বিশাল শব্দের বিস্ফোরণ ঘটে, তারপরই চারপাশ ধুলোয় ঢেকে যায়।”

ফিলিস্তিনি নাগরিক আহমেদ কিশাউই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “এই জায়গাটি ছিল তাঁবুতে ভরা। এখন সব তাঁবু বালুর নিচে চাপা পড়ে গেছে। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে খালি হাতে খুঁড়ে মরদেহ বের করছি।”

গাজার একাধিক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে চালানো এই হামলায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত কর্মকর্তারা।

এদিকে হাসপাতালগুলোতেও ভয়াবহ চাপ তৈরি হয়েছে। আহতদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিত না থাকায় গাজায় মানবিক বিপর্যয় দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ হামলার নিন্দা জানালেও হামলার তীব্রতা ও এর পরিণতি ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়ছে না।

সূত্র: বিবিসি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১০:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক মানুষ। শনিবার (২৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে হামাসের অধীনস্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের কর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের একটি স্টেডিয়ামের কাছে চালানো হামলায় শিশু সহ অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। স্টেডিয়ামটিতে আশ্রয় নিয়েছিল বাস্তুচ্যুত অসংখ্য মানুষ, যা সাময়িক শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

বিবিসির যাচাইকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্থানীয়রা খালি হাতে কিংবা কোদাল দিয়ে বালু সরিয়ে মরদেহ বের করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। হামলার মুহূর্তের বর্ণনা দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “তারা রাস্তার পাশে বসে ছিলেন। হঠাৎ বিশাল শব্দের বিস্ফোরণ ঘটে, তারপরই চারপাশ ধুলোয় ঢেকে যায়।”

ফিলিস্তিনি নাগরিক আহমেদ কিশাউই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “এই জায়গাটি ছিল তাঁবুতে ভরা। এখন সব তাঁবু বালুর নিচে চাপা পড়ে গেছে। আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে খালি হাতে খুঁড়ে মরদেহ বের করছি।”

গাজার একাধিক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে চালানো এই হামলায় নারী ও শিশুসহ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে যুক্ত কর্মকর্তারা।

এদিকে হাসপাতালগুলোতেও ভয়াবহ চাপ তৈরি হয়েছে। আহতদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিত না থাকায় গাজায় মানবিক বিপর্যয় দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ হামলার নিন্দা জানালেও হামলার তীব্রতা ও এর পরিণতি ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়ছে না।

সূত্র: বিবিসি