০৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ভবিষ্যতে বিদেশে গরুর মাংস রফতানি করাও সরকারের লক্ষ্য: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 41

ছবি: সংগৃহীত

 

মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গরুর গুটি রোগ নির্মূলের মাধ্যমে মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতে রফতানি সক্ষমতা নিশ্চিত করতে টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। উপদেষ্টা বলেন, এর মাধ্যমে দেশের মাংসের চাহিদা মেটানো ও ভবিষ্যতে বিদেশে রফতানি করাও সরকারের লক্ষ্য।

শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর স্কুল মাঠে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আয়োজনে এই টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ফরিদা আখতার জানান, যেসব এলাকায় চর ও ডিপচর রয়েছে এবং যেখানে প্রচুর গো-খাদ্য বা ঘাসের সহজলভ্যতা রয়েছে, সেখানে এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে গরুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশে রফতানির পথও সুগম করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, গরুর গুটি রোগ প্রতিরোধে এবার ৩০ লাখ ডোজ টিকা চারটি জেলায় বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলায়ই ৬ লাখ ডোজ সরবরাহ করা হবে।

ফরিদা আখতার আরও জানান, ‘এর আগেও চারটি ডোজ প্রদান করা হয়েছিল। বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে খামারিদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত খামারিরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। তারা জানান, দেশে বর্তমানে এলএসডি প্রাণীরোগ সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দ্রুত পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুধের ন্যায্য দাম ও খামারিদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানান তারা।

এক খামারি আলিম বলেন, ‘গুটি রোগ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা চাই এই রোগের টিকা আরও বেশি পরিমাণে দেওয়া হোক।’

আরেক খামারি রফিক বলেন, ‘টিকা কার্যক্রমের পাশাপাশি দুধের দাম বৃদ্ধি এবং খামারিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।’

খামারি রাসেল মিয়া বলেন, ‘শুধু মাংস উৎপাদন নয়, দুধ উৎপাদন এবং খামারিদের অন্যান্য সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা এবং জেলা-উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভবিষ্যতে বিদেশে গরুর মাংস রফতানি করাও সরকারের লক্ষ্য: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:৩০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গরুর গুটি রোগ নির্মূলের মাধ্যমে মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি ও ভবিষ্যতে রফতানি সক্ষমতা নিশ্চিত করতে টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। উপদেষ্টা বলেন, এর মাধ্যমে দেশের মাংসের চাহিদা মেটানো ও ভবিষ্যতে বিদেশে রফতানি করাও সরকারের লক্ষ্য।

শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর স্কুল মাঠে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আয়োজনে এই টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

ফরিদা আখতার জানান, যেসব এলাকায় চর ও ডিপচর রয়েছে এবং যেখানে প্রচুর গো-খাদ্য বা ঘাসের সহজলভ্যতা রয়েছে, সেখানে এই টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে গরুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশে রফতানির পথও সুগম করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, গরুর গুটি রোগ প্রতিরোধে এবার ৩০ লাখ ডোজ টিকা চারটি জেলায় বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলায়ই ৬ লাখ ডোজ সরবরাহ করা হবে।

ফরিদা আখতার আরও জানান, ‘এর আগেও চারটি ডোজ প্রদান করা হয়েছিল। বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে খামারিদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত খামারিরা তাদের দাবি তুলে ধরেন। তারা জানান, দেশে বর্তমানে এলএসডি প্রাণীরোগ সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দ্রুত পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুধের ন্যায্য দাম ও খামারিদের জন্য বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানান তারা।

এক খামারি আলিম বলেন, ‘গুটি রোগ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা চাই এই রোগের টিকা আরও বেশি পরিমাণে দেওয়া হোক।’

আরেক খামারি রফিক বলেন, ‘টিকা কার্যক্রমের পাশাপাশি দুধের দাম বৃদ্ধি এবং খামারিদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন।’

খামারি রাসেল মিয়া বলেন, ‘শুধু মাংস উৎপাদন নয়, দুধ উৎপাদন এবং খামারিদের অন্যান্য সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা এবং জেলা-উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।