ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ, পুতিনের যুক্তভুক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষা বহাল এনবিআরের পূর্ণ শাটডাউনে অচল দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম রিজার্ভে স্বস্তি: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার ফক্স নিউজের বিরুদ্ধে ৭৮ কোটি ডলারের মানহানি মামলা ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের বাফুফে ট্রায়ালে প্রবাসী ঝড়: হামজা-শমিতের পর এবার আসলেন আরো ৪৩ ফুটবলার সর্দি কাশি দূর করার ১১টি ঘরোয়া উপায় ভবিষ্যতে বিদেশে গরুর মাংস রফতানি করাও সরকারের লক্ষ্য: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সব সরকারি ভবনের ছাদে বসবে সোলার প্যানেল: প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

দেশজুড়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাদগুলোতে সোলার প্যানেল স্থাপন করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ বিষয়ক এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি (আইআরইএনএ)-এর ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে প্রকাশ, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখনও প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে যেখানে বিদ্যুতের ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৭.১৬ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৭ শতাংশ সৌরশক্তি থেকে আসে, সেখানে বাংলাদেশে এ হার মাত্র ৫.৬ শতাংশ।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমানে ৫ হাজার ২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৫টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের টেন্ডার কার্যক্রম চলছে, যার বাস্তবায়নে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সরকারি ছাদ ব্যবহার করে বেসরকারি খাতে সৌর প্যানেল বসানো যেতে পারে। যারা এটি স্থাপন করবে, তারা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই রক্ষণাবেক্ষণ করবে এবং কার্যকরভাবে পরিচালনা করবে। সরকারের পক্ষ থেকে কেবল ছাদ বরাদ্দ দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে রুফটপ সোলার স্থাপন করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ আমাদের জানতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের দিকে যেতে হবে।”

এই কর্মসূচির আওতায় সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও হাসপাতালগুলো সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য কোনো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে না। পাশাপাশি, সৌর প্যানেল স্থাপনে ব্যবহৃত ছাদের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়াও পাবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং বিদ্যুৎ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সব সরকারি ভবনের ছাদে বসবে সোলার প্যানেল: প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

আপডেট সময় ০৬:৪৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

দেশজুড়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাদগুলোতে সোলার প্যানেল স্থাপন করে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ বিষয়ক এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি (আইআরইএনএ)-এর ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে প্রকাশ, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখনও প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। ভারতে যেখানে বিদ্যুতের ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৭.১৬ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৭ শতাংশ সৌরশক্তি থেকে আসে, সেখানে বাংলাদেশে এ হার মাত্র ৫.৬ শতাংশ।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে বর্তমানে ৫ হাজার ২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৫টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের টেন্ডার কার্যক্রম চলছে, যার বাস্তবায়নে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সরকারি ছাদ ব্যবহার করে বেসরকারি খাতে সৌর প্যানেল বসানো যেতে পারে। যারা এটি স্থাপন করবে, তারা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই রক্ষণাবেক্ষণ করবে এবং কার্যকরভাবে পরিচালনা করবে। সরকারের পক্ষ থেকে কেবল ছাদ বরাদ্দ দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে রুফটপ সোলার স্থাপন করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জ আমাদের জানতে হবে। সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের দিকে যেতে হবে।”

এই কর্মসূচির আওতায় সরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও হাসপাতালগুলো সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য কোনো বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে না। পাশাপাশি, সৌর প্যানেল স্থাপনে ব্যবহৃত ছাদের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়াও পাবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং বিদ্যুৎ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।