ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

হোয়াইট হাউসের সামনে গাজা ও ইরানে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও ইরানে সামরিক হামলার বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ততার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, যার প্রতিবাদেই এই গণজমায়েত ঘটে।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিন ও ইরানের জাতীয় পতাকা হাতে তুলে নেন এবং ইসরায়েলের সামরিক অভিযান, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করেন এবং যুদ্ধকে “অন্যায্য ও বিপজ্জনক” বলে আখ্যা দেন।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই প্ল্যাকার্ডে “গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো” এবং “ইরানের ওপর আগ্রাসন বন্ধ করো”– এমন বার্তা ধারণ করেন। তাঁদের দাবি, এই সংঘাতে মার্কিন হস্তক্ষেপ শুধু পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। তাই যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘাতে সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য স্পষ্টভাবে আহ্বান জানান তাঁরা। যদিও বিক্ষোভে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করে তাঁকে আহ্বান জানানো হয়েছে, বাস্তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনই ক্ষমতায় রয়েছে।

গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, একই ইস্যুতে লস অ্যাঞ্জেলেস ও ক্যালিফোর্নিয়া সহ যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন প্রবাসী সংগঠনের সদস্যরা এই বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, যুদ্ধের আগুনে জ্বলে উঠেছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। গাজা উপত্যকায় অবরোধ ও বিমান হামলায় ইতিমধ্যেই শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। একইসঙ্গে ইরানের ওপর হামলার মাধ্যমে অঞ্চলজুড়ে নতুন করে সংঘাত উসকে দেওয়া হচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ অবস্থায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছে। তারা মনে করছে, আন্তর্জাতিক চাপই কেবল এই সহিংসতা বন্ধ করতে পারে।

সূত্র: টিআরটি গ্লোবাল

নিউজটি শেয়ার করুন

হোয়াইট হাউসের সামনে গাজা ও ইরানে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১২:২২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও ইরানে সামরিক হামলার বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ততার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, যার প্রতিবাদেই এই গণজমায়েত ঘটে।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিন ও ইরানের জাতীয় পতাকা হাতে তুলে নেন এবং ইসরায়েলের সামরিক অভিযান, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তাঁরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করেন এবং যুদ্ধকে “অন্যায্য ও বিপজ্জনক” বলে আখ্যা দেন।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই প্ল্যাকার্ডে “গাজায় গণহত্যা বন্ধ করো” এবং “ইরানের ওপর আগ্রাসন বন্ধ করো”– এমন বার্তা ধারণ করেন। তাঁদের দাবি, এই সংঘাতে মার্কিন হস্তক্ষেপ শুধু পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। তাই যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘাতে সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য স্পষ্টভাবে আহ্বান জানান তাঁরা। যদিও বিক্ষোভে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করে তাঁকে আহ্বান জানানো হয়েছে, বাস্তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনই ক্ষমতায় রয়েছে।

গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, একই ইস্যুতে লস অ্যাঞ্জেলেস ও ক্যালিফোর্নিয়া সহ যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। সাধারণ মানুষ, মানবাধিকারকর্মী ও বিভিন্ন প্রবাসী সংগঠনের সদস্যরা এই বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, যুদ্ধের আগুনে জ্বলে উঠেছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। গাজা উপত্যকায় অবরোধ ও বিমান হামলায় ইতিমধ্যেই শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। একইসঙ্গে ইরানের ওপর হামলার মাধ্যমে অঞ্চলজুড়ে নতুন করে সংঘাত উসকে দেওয়া হচ্ছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ অবস্থায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছে। তারা মনে করছে, আন্তর্জাতিক চাপই কেবল এই সহিংসতা বন্ধ করতে পারে।

সূত্র: টিআরটি গ্লোবাল