ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের জবাব হবে কঠোর ও চূড়ান্ত: খামেনি ১১ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা সোহায়েল গুম মামলায় গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ ঈদযাত্রায় সড়কে প্রতিদিন গড় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জাতীয় সংবিধানিক কাউন্সিল গঠনে একমত নাগরিক পার্টি, কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য: নাহিদ ইসলাম এসএসএফকে কাজ করতে হবে সব দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস-তারেক বৈঠকে আপত্তি একটি দলের, মন্তব্য মির্জা ফখরুলের শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর কুয়ালালামপুরে ফের গুলির ঘটনা, শপিংমলের সামনে ২ জনকে হত্যা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণ-রুপার দাম

উৎসবমুখর নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা চায় বিএনপি: আমিনুল হক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চায় উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হোক যার মাধ্যমে দেশে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন করা গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত হবে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্লবীর কালশী মোড়ে ‘স্ট্যান্ডার্ড পিপলস জেনারেল রিহ্যাবলিটেশন কমিটি (এসপিজিআরসি)’ কুর্মিটোলা শাখা ও ‘উর্দুভাষী যুব ছাত্র আন্দোলন’-এর আয়োজনে ২০১৪ সালের ১৪ জুন কালশীর কুর্মিটোলা ক্যাম্পে উর্দুভাষীদের ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে দেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছে। সেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের আশায় আজো মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। দেশের জনগণ আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চায় না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করুক। যেন সবাই স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারে এবং সম্মানের সাথে নিজেকে একজন বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে পারে।”

২০১৪ সালের হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।”

উর্দুভাষী বিহারিদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, “আপনারা আমার পরিবারের সদস্য। আপনাদের সুখ-দুঃখে আমি সবসময় পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আপনাদের আলাদা করে দেখার কোনো প্রশ্নই আসে না।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ বছরে শেখ হাসিনা এবং তার দোসররা আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, গুম করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা তরুণদের রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার এ দেশের মাটিতেই হবে।”

হত্যাকাণ্ডে নিহত ১০ জনের মধ্যে ফারজানা নামের একমাত্র জীবিত সদস্যের যাবতীয় ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণের ঘোষণাও দেন বিএনপি নেতা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম শওকত আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন কুর্মিটোলা শাখার সভাপতি সাদাকাত হোসেন ফাক্কু, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী বাবলু, সহসভাপতি মঈনুদ্দিন হোসেন মুন্না প্রমুখ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

উৎসবমুখর নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা চায় বিএনপি: আমিনুল হক

আপডেট সময় ১০:৪৪:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চায় উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন হোক যার মাধ্যমে দেশে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন করা গেলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত হবে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্লবীর কালশী মোড়ে ‘স্ট্যান্ডার্ড পিপলস জেনারেল রিহ্যাবলিটেশন কমিটি (এসপিজিআরসি)’ কুর্মিটোলা শাখা ও ‘উর্দুভাষী যুব ছাত্র আন্দোলন’-এর আয়োজনে ২০১৪ সালের ১৪ জুন কালশীর কুর্মিটোলা ক্যাম্পে উর্দুভাষীদের ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে দেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে আসছে। সেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের আশায় আজো মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। দেশের জনগণ আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চায় না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করুক। যেন সবাই স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারে এবং সম্মানের সাথে নিজেকে একজন বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দিতে পারে।”

২০১৪ সালের হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।”

উর্দুভাষী বিহারিদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, “আপনারা আমার পরিবারের সদস্য। আপনাদের সুখ-দুঃখে আমি সবসময় পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আপনাদের আলাদা করে দেখার কোনো প্রশ্নই আসে না।”

তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ বছরে শেখ হাসিনা এবং তার দোসররা আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে, গুম করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা তরুণদের রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার এ দেশের মাটিতেই হবে।”

হত্যাকাণ্ডে নিহত ১০ জনের মধ্যে ফারজানা নামের একমাত্র জীবিত সদস্যের যাবতীয় ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণের ঘোষণাও দেন বিএনপি নেতা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এসপিজিআরসি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম শওকত আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন কুর্মিটোলা শাখার সভাপতি সাদাকাত হোসেন ফাক্কু, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী বাবলু, সহসভাপতি মঈনুদ্দিন হোসেন মুন্না প্রমুখ।