ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সবুজবাগে বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি তুরস্কে স্কি রিসোর্টে অগ্নিকাণ্ড: মালিকসহ ৯ জন গ্রেপ্তার ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ চিটাগং কিংসকে উড়িয়ে দিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের টানা তৃতীয় জয়   গাজায় ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগের প্রস্তুতিতে শিন বেত প্রধান রনেন বার যেসব পণ্যে ভ্যাট কমালো এনবিআর গাজায় ব্যর্থতার দায়ে এবার পদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত-এর প্রধান রনেন বার। পুতিনের ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্পের উদ্বেগ, নতুন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত: বৈদেশিক সহায়তায় ৯০ দিনের সাময়িক স্থগিতাদেশ ইতালি থেকে আসা সেই বিমানে তল্লাশির পর যা জানা গেল

হতাশায় জেলে ও ব্যবসায়ীরা

মাছ ধরার মৌসুমেও আশানুরূপ ফল নেই

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

 

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান নদীগুলোতেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গে আশানুরূপ মাছের দেখা মিলছে না। মাছ ধরার মৌসুমেও জেলেরা হতাশ হয়ে তীরে ফিরছে। এর ফলে উপকূলীয় বাঁশবাড়িয়া, হাজীরহাট, গোলখালী, আউলিয়াপুর, রণগোপালদী ও আলীপুরা এলাকার জেলে পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।

জেলেদের দুর্দশার পাশাপাশি এসব এলাকায় দাদন ব্যবসায়ীদের দাপট বাড়ছে। অর্থকষ্টে জর্জরিত জেলেরা দাদনের ফাঁদে পড়ে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।

উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বাজারগুলোতেও দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন দুষ্প্রাপ্য। বর্ষা মৌসুমে ডিম ছাড়ার আগেই ডিমওয়ালা মাছ ধরা পড়ায় মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। একশ্রেণির অসাধু জেলের অবাধ মাছ শিকারের কারণে নদী ও বিল থেকে দেশীয় মাছ প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।

প্রধান দুই নদী ছাড়াও আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রণগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর এলাকার নদী-খাল-বিলগুলোতে মাছের আকাল প্রকট হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিবেশবান্ধব মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনার অভাব, কৃষি জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকারের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
৫০৯ বার পড়া হয়েছে

হতাশায় জেলে ও ব্যবসায়ীরা

মাছ ধরার মৌসুমেও আশানুরূপ ফল নেই

আপডেট সময় ০৩:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

 

 

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার প্রধান নদীগুলোতেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গে আশানুরূপ মাছের দেখা মিলছে না। মাছ ধরার মৌসুমেও জেলেরা হতাশ হয়ে তীরে ফিরছে। এর ফলে উপকূলীয় বাঁশবাড়িয়া, হাজীরহাট, গোলখালী, আউলিয়াপুর, রণগোপালদী ও আলীপুরা এলাকার জেলে পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।

জেলেদের দুর্দশার পাশাপাশি এসব এলাকায় দাদন ব্যবসায়ীদের দাপট বাড়ছে। অর্থকষ্টে জর্জরিত জেলেরা দাদনের ফাঁদে পড়ে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।

উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বাজারগুলোতেও দেশীয় প্রজাতির মাছ এখন দুষ্প্রাপ্য। বর্ষা মৌসুমে ডিম ছাড়ার আগেই ডিমওয়ালা মাছ ধরা পড়ায় মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। একশ্রেণির অসাধু জেলের অবাধ মাছ শিকারের কারণে নদী ও বিল থেকে দেশীয় মাছ প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।

প্রধান দুই নদী ছাড়াও আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, রণগোপালদী, চরবোরহান, দশমিনা, বেতাগী সানকিপুর এলাকার নদী-খাল-বিলগুলোতে মাছের আকাল প্রকট হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরিবেশবান্ধব মৎস্যসম্পদ ব্যবস্থাপনার অভাব, কৃষি জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার এবং প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকারের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।