০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি

চলনবিলের কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
  • / 79

ছবি সংগৃহীত

 

 

নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিল ঘেঁষা ডাহিয়া ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি, সরিষাবাড়ি ও পাড়িল গ্রাম মূলত সরিষা উৎপাদনে পরিচিত। এবারও কৃষকেরা সরিষা তোলার পর জমিতে ব্রি ধান-২৯ জাতের আবাদ করেন। তবে সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও আগাম বন্যায় এসব জমিতে পানি চলে এসেছে যার ফলে ধান কর্তন ও মাড়াই নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। প্রায় ২৫০জন কৃষকদের স্বপ্নের ফসল এখনও পানির নিচে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা গেছে, চলনবিলের ওইসব এলাকার কৃষকরা তাদের জমির কিছু ধান বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে নৌকাযোগে কেউবা ভেলায়, কিছু এলাকায় এখনো নৌকা ছাড়া চলাচলের উপায় নেই। যেসব কৃষক নিজের ঘরেই ফসল সংরক্ষণ করতেন, তারাও ক্ষতির মুখে।

তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামানো হয়েছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। কম্বাইন হারভেস্টর ও থ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে ধান কর্তন ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে পুরোদমে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে।

সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ জানান, ‘‘টানা বৃষ্টি ও আগাম বন্যার কারণে জমিতে পানি ওঠায় ধান কাটার সমস্যা হয়েছিল। তবে আমরা দ্রুত মাঠে কম্বাইন হারভেস্টর নামানোর ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের ক্ষতি না হয়, সে জন্য স্বল্পমেয়াদি ধান জাত চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চলনবিলের কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে

আপডেট সময় ০৭:১১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

 

 

নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিল ঘেঁষা ডাহিয়া ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি, সরিষাবাড়ি ও পাড়িল গ্রাম মূলত সরিষা উৎপাদনে পরিচিত। এবারও কৃষকেরা সরিষা তোলার পর জমিতে ব্রি ধান-২৯ জাতের আবাদ করেন। তবে সম্প্রতি কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও আগাম বন্যায় এসব জমিতে পানি চলে এসেছে যার ফলে ধান কর্তন ও মাড়াই নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। প্রায় ২৫০জন কৃষকদের স্বপ্নের ফসল এখনও পানির নিচে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা গেছে, চলনবিলের ওইসব এলাকার কৃষকরা তাদের জমির কিছু ধান বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে নৌকাযোগে কেউবা ভেলায়, কিছু এলাকায় এখনো নৌকা ছাড়া চলাচলের উপায় নেই। যেসব কৃষক নিজের ঘরেই ফসল সংরক্ষণ করতেন, তারাও ক্ষতির মুখে।

তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামানো হয়েছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। কম্বাইন হারভেস্টর ও থ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে ধান কর্তন ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে পুরোদমে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে।

সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ জানান, ‘‘টানা বৃষ্টি ও আগাম বন্যার কারণে জমিতে পানি ওঠায় ধান কাটার সমস্যা হয়েছিল। তবে আমরা দ্রুত মাঠে কম্বাইন হারভেস্টর নামানোর ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে যেন এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের ক্ষতি না হয়, সে জন্য স্বল্পমেয়াদি ধান জাত চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।