১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ইরানে ইসরায়েলের হামলা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম: ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

 

ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার বিষয়ে আগে থেকেই অবগত ছিলেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখনো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সুযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৩ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা আগেই সবকিছু জানতাম এবং আমি চেয়েছিলাম ইরান যেন অপমান, ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির শিকার না হয়। আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি ইরানকে রক্ষা করতে, কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি।”

রয়টার্সের এক প্রশ্নে, ইসরায়েলকে ইরানের পাল্টা হামলা থেকে রক্ষায় পাশে থাকবেন কিনা এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি সবসময়ই ইসরায়েলের সমর্থক ছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে তিনি খুব একটা উদ্বিগ্ন নন।

তার ভাষায়, “আমরা ইসরায়েলের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা তাদের প্রধান মিত্র। এখন দেখা যাক কী ঘটে।”

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর ৪টার দিকে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ) ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত আটটি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হন।

হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে, এই উত্তেজনা কোনো বৃহৎ সংঘাতে রূপ নিতে পারে কি না, তা নিয়ে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়, যুক্তরাষ্ট্র পূর্বেই হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা রাখতো এবং কূটনৈতিকভাবে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় ছিল।

তবে এ মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টিই হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্যতম আলোচিত ইস্যু।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইরানে ইসরায়েলের হামলা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতাম: ট্রাম্প

আপডেট সময় ০৭:০২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

 

 

ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার বিষয়ে আগে থেকেই অবগত ছিলেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখনো ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সুযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৩ জুন) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, “আমরা আগেই সবকিছু জানতাম এবং আমি চেয়েছিলাম ইরান যেন অপমান, ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির শিকার না হয়। আমি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছি ইরানকে রক্ষা করতে, কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি।”

রয়টার্সের এক প্রশ্নে, ইসরায়েলকে ইরানের পাল্টা হামলা থেকে রক্ষায় পাশে থাকবেন কিনা এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প জানান, তিনি সবসময়ই ইসরায়েলের সমর্থক ছিলেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে তিনি খুব একটা উদ্বিগ্ন নন।

তার ভাষায়, “আমরা ইসরায়েলের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা তাদের প্রধান মিত্র। এখন দেখা যাক কী ঘটে।”

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর ৪টার দিকে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী (আইএএফ) ইরানের রাজধানী তেহরানসহ অন্তত আটটি শহরে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং আরও প্রায় ৩০০ জন আহত হন।

হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে, এই উত্তেজনা কোনো বৃহৎ সংঘাতে রূপ নিতে পারে কি না, তা নিয়ে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়, যুক্তরাষ্ট্র পূর্বেই হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা রাখতো এবং কূটনৈতিকভাবে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় ছিল।

তবে এ মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা প্রশমনের বিষয়টিই হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অন্যতম আলোচিত ইস্যু।