ঢাকা ০৪:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ইসরায়েলি হামলা: আরব দেশগুলোর তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগের ঝড় উত্ত্যক্তকারীদের রুখতে পরিবার ও সমাজকে হতে হবে সক্রিয় ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি ইরানের স্বর্ণ-রুপার আজকের বাজারদর: বাজুসের সর্বশেষ মূল্য সমন্বয় তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ জেনারেল ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা নিহত, ইরানের কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি ইসরায়েলি হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ করল ইরান, জরুরি অবস্থা জারি ইউনূস-তারেক বৈঠকে আশার আলো দেখছে খেলাফত মজলিস ওয়ানডেতে নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়, অধিনায়ক হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ লন্ডনে তারেক রহমান-ড. ইউনূস বৈঠকে নির্দিষ্ট এজেন্ডা নেই: প্রেস সচিব কামিন্সের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত দ.আফ্রিকা, অল্প রানেও লিড অজিদের

যমুনার তীরে মিলল ১১টি বিস্ফোরিত মর্টার শেল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৩০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর তীর থেকে ১১টি বিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার পাটিতাপাড়া এলাকা থেকে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের ধারণা, এগুলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের যুদ্ধাস্ত্র। শেলগুলো মরিচা ধরা অবস্থায় পাশাপাশি পড়ে ছিল। কিছু শেলের গায়ে জং ধরেছে, আবার কয়েকটি শেলের ভেতর ফাঁপা অবস্থায় ছিল, অর্থাৎ বিস্ফোরক উপাদান ছিল না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মো. শাহাদত নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি যমুনার পাড়ে মাছ ধরতে গিয়ে প্রথমে অদ্ভুত আকৃতির বস্তুগুলো দেখতে পান। আচমকা এমন বস্তু দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে তিনি আশপাশের লোকজনকে জানান এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। পরে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ সেখানে গিয়ে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করে।

পরে পুলিশ শেলগুলো উদ্ধার করে নিরাপত্তার স্বার্থে সেনা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়।

এলাকাবাসীর দাবি, এই মর্টার শেলগুলো মুক্তিযুদ্ধের স্মারক। তাদের ভাষ্য মতে, ১৯৭১ সালে এই পাটিতাপাড়া ও মাটিকাটা এলাকায় যমুনা নদীতে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই যুদ্ধজাহাজ থেকেই এসব মর্টার শেল নদীর তীরে এসে পড়ে থাকতে পারে।

স্থানীয় রুবেল, মনির ও রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শোনা কথার সঙ্গে মিল রেখেই তারা মনে করছেন এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনা। দীর্ঘদিন পর মর্টার শেলগুলো উদ্ধার হওয়ায় পুরনো স্মৃতি যেন ফিরে এসেছে।

নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে এসে আমি নিজ চোখে মর্টার শেলগুলো দেখি। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে ভূঞাপুর থানা পুলিশকে অবহিত করি এবং স্থানীয়দের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা নিই।”

ভূঞাপুর থানার ওসি এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে মর্টার শেলগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের। অধিকাংশের ভেতরে বিস্ফোরক উপাদান ছিল না। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

এই ঘটনার পর পুরো এলাকা জুড়ে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘটনাস্থল দেখতে ভিড় করছেন, কেউ কেউ বলছেন—এ যেন ইতিহাসের সাক্ষাৎ ছোঁয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

যমুনার তীরে মিলল ১১টি বিস্ফোরিত মর্টার শেল

আপডেট সময় ০২:৩০:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর তীর থেকে ১১টি বিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার পাটিতাপাড়া এলাকা থেকে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের ধারণা, এগুলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের যুদ্ধাস্ত্র। শেলগুলো মরিচা ধরা অবস্থায় পাশাপাশি পড়ে ছিল। কিছু শেলের গায়ে জং ধরেছে, আবার কয়েকটি শেলের ভেতর ফাঁপা অবস্থায় ছিল, অর্থাৎ বিস্ফোরক উপাদান ছিল না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মো. শাহাদত নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি যমুনার পাড়ে মাছ ধরতে গিয়ে প্রথমে অদ্ভুত আকৃতির বস্তুগুলো দেখতে পান। আচমকা এমন বস্তু দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে তিনি আশপাশের লোকজনকে জানান এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। পরে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ সেখানে গিয়ে মর্টার শেলগুলো উদ্ধার করে।

পরে পুলিশ শেলগুলো উদ্ধার করে নিরাপত্তার স্বার্থে সেনা ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়।

এলাকাবাসীর দাবি, এই মর্টার শেলগুলো মুক্তিযুদ্ধের স্মারক। তাদের ভাষ্য মতে, ১৯৭১ সালে এই পাটিতাপাড়া ও মাটিকাটা এলাকায় যমুনা নদীতে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেই যুদ্ধজাহাজ থেকেই এসব মর্টার শেল নদীর তীরে এসে পড়ে থাকতে পারে।

স্থানীয় রুবেল, মনির ও রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শোনা কথার সঙ্গে মিল রেখেই তারা মনে করছেন এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনা। দীর্ঘদিন পর মর্টার শেলগুলো উদ্ধার হওয়ায় পুরনো স্মৃতি যেন ফিরে এসেছে।

নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে এসে আমি নিজ চোখে মর্টার শেলগুলো দেখি। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে ভূঞাপুর থানা পুলিশকে অবহিত করি এবং স্থানীয়দের নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা নিই।”

ভূঞাপুর থানার ওসি এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে মর্টার শেলগুলো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের। অধিকাংশের ভেতরে বিস্ফোরক উপাদান ছিল না। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”

এই ঘটনার পর পুরো এলাকা জুড়ে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ঘটনাস্থল দেখতে ভিড় করছেন, কেউ কেউ বলছেন—এ যেন ইতিহাসের সাক্ষাৎ ছোঁয়া।