গত এক দশকে সবচেয়ে দ্রুত বেড়েছে ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষ : পিউ রিসার্চ
- আপডেট সময় ০৮:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
- / 100
গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় গঠনে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে, যেখানে সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে মুসলিমদের মধ্যে। এমনটাই জানানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে।
‘হাউ দ্য গ্লোবাল রিলিজিয়াস ল্যান্ডস্কেপ চেঞ্জড’ শিরোনামের এ গবেষণাটি ৯ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়কালে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে অন্যান্য সব ধর্মের তুলনায় বেশি হারে, যার ফলে ইসলাম হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল ধর্ম।
পিউ রিসার্চ সেন্টার জানায়, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো প্রাকৃতিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থাৎ বেশি সন্তান জন্মদান এবং তুলনামূলকভাবে কম বয়সী জনগোষ্ঠী। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৫ থেকে ২০২০ সময়কালে একজন মুসলিম নারীর গড় সন্তান সংখ্যা ছিল ২.৯, যেখানে অমুসলিম নারীদের গড় সন্তান সংখ্যা ছিল ২.২।
ধর্মান্তর বা ধর্ম ত্যাগের হার মুসলিমদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে খুবই কম, যা তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে না। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, অন্য যেকোনো প্রধান ধর্মের অনুসারীদের তুলনায় মুসলিমদের গড় বয়স কম এবং সন্তান সংখ্যা বেশি।
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ বর্তমানে ইসলামের অনুসারী। ২০১০ সালের পর থেকে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন, যা খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় তিনগুণ এবং অন্যান্য সব ধর্মের সম্মিলিত বৃদ্ধির চেয়েও বেশি।
তবে এখনো বিশ্বের বৃহত্তম ধর্ম হিসেবে রয়েছে খ্রিস্টধর্ম, যার অনুসারী প্রায় ২.৩ বিলিয়ন মানুষ। যদিও ২০১০ সাল থেকে খ্রিস্টান জনসংখ্যা বিশ্বে প্রায় ১.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, ধর্মীয়ভাবে নিরপেক্ষ বা কোনো ধর্মে সম্পৃক্ত নন এমন মানুষের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী প্রায় দুই বিলিয়ন, যাদের সংখ্যা ২০১০ সালের তুলনায় বেড়েছে ২৭ কোটি।
গবেষণায় বলা হয়, ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে বিশ্বে মুসলিম ও ধর্মনিরপেক্ষ জনগোষ্ঠীই একমাত্র দুটি শ্রেণী যারা জনসংখ্যার অনুপাতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই গবেষণা ধর্মীয় গঠনে চলমান বৈশ্বিক প্রবণতা বোঝার একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
















