ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বার বার ভাঙনে অস্থিত্ব সংকটে অনেক রাজনৈতিক দল ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অস্ত্রবিরতির আলোচনা ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজায় একদিনেই ৭১ জনের প্রাণহানি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হেফাজতের বৈঠক: নীতিগত আলোচনা আবহাওয়ার সতর্কতা: ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাংকের ৮০ শতাংশ অর্থ পাচার হয়ে গেছে অর্থ উপদেষ্টা রেলপথ গুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চায় সরকার আরো ১৪ রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামি ধরতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ওপর হামলা, এসআই গুরুতর আহত নোয়াখালীতে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক

বাজেট নিয়ে ট্রাম্পকে তীব্র আক্রমণ ইলন মাস্কের: ‘এই বিল অমানবিক ও জঘন্য’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 12

ছবি সংগৃহীত

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রস্তাবিত বাজেট ও কর বিলকে ‘অবিশ্বাস্য ও জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও সাবেক মিত্র ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ টানা কয়েকটি পোস্টে তিনি বলেছেন, এই বিল মার্কিন অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

সম্প্রতি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অনুমোদিত এই বাজেট বিলটিতে ট্রিলিয়ন ডলারের করছাড়, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যাপক বরাদ্দ এবং ঋণসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু মাস্কের মতে, এটি বাজেট ঘাটতি বাড়িয়ে ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেবে, যার বোঝা চরমভাবে চাপবে সাধারণ মার্কিন নাগরিকের ওপর।

মাস্ক বলেন, ‘এই বিল যারা পাস করেছে, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।’ দীর্ঘদিন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মাস্ক ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায়ও সক্রিয় ছিলেন। নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর তিনি প্রশাসনের ডিওজিই পরামর্শক দপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ক্ষতির মুখে পড়ে। এমনকি টেসলার বিক্রয়কেন্দ্রে হামলার ঘটনাও ঘটে। ট্রাম্পের সঙ্গে নীতিগত বিরোধ এবং রাজনৈতিক চাপের মুখে তিনি ৩১ মে পদত্যাগ করেন। এটি ছিল বাজেট কমানোর জন্য গঠিত দলের নেতৃত্বের পদ।

প্রশাসন ছাড়ার পর এটি মাস্কের প্রথম প্রকাশ্য ট্রাম্পবিরোধী অবস্থান। ট্রাম্প প্রশাসনের মুখপাত্র জানান, প্রেসিডেন্ট মাস্কের অবস্থান সম্পর্কে অবগত। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট জানান, সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প এই বিল ‘বিগ বিউটিফুল অ্যাক্ট’ হিসেবে সামনে এগিয়ে নিতে চান।

বিলটির বিতর্কিত অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালের করছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো, ঋণসীমা বৃদ্ধি, অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নে অর্থ বরাদ্দ এবং নির্বাচনী স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় খরচ যেগুলো ‘পোর্ক ব্যারেল’ ব্যয় নামে পরিচিত।

বিলটি ঘিরে রিপাবলিকানদের মধ্যেও মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। কেন্টাকির সিনেটর রান্ড পল স্পষ্ট জানিয়েছেন, ঋণসীমা বৃদ্ধির অংশ থাকলে তিনি বিলটির বিরোধিতা করবেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, ‘কেন্টাকির মানুষ পলকে সহ্য করতে পারে না।’

এদিকে অ্যাক্সিয়স জানায়, ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ মাস্কের স্টারলিংক সেবা গ্রহণ না করায় তিনি অসন্তুষ্ট। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, সরকারি পদে থাকা কারও প্রতিষ্ঠানের সেবা নেওয়া স্বার্থের সংঘাত তৈরি করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে সিনেট নেতা চাক শুমার বলেন, ‘মাস্ক যিনি নিজে প্রক্রিয়ার অংশ ছিলেন, তিনিই যখন বলছেন বিলটি খারাপ তাহলে আসলে সেটি কতটা ভয়াবহ, তা সহজেই অনুমেয়।’

ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা বিলটি ৪ জুলাইয়ের আগেই পাস করতে চান। তবে মাস্ক সতর্ক করে বলেন, ‘যারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তারা আগামী নির্বাচনে প্রত্যাখ্যাত হবেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজেট নিয়ে ট্রাম্পকে তীব্র আক্রমণ ইলন মাস্কের: ‘এই বিল অমানবিক ও জঘন্য’

আপডেট সময় ০৫:২৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রস্তাবিত বাজেট ও কর বিলকে ‘অবিশ্বাস্য ও জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও সাবেক মিত্র ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ টানা কয়েকটি পোস্টে তিনি বলেছেন, এই বিল মার্কিন অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

সম্প্রতি হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অনুমোদিত এই বাজেট বিলটিতে ট্রিলিয়ন ডলারের করছাড়, প্রতিরক্ষা ব্যয়ে ব্যাপক বরাদ্দ এবং ঋণসীমা বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু মাস্কের মতে, এটি বাজেট ঘাটতি বাড়িয়ে ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেবে, যার বোঝা চরমভাবে চাপবে সাধারণ মার্কিন নাগরিকের ওপর।

মাস্ক বলেন, ‘এই বিল যারা পাস করেছে, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।’ দীর্ঘদিন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মাস্ক ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায়ও সক্রিয় ছিলেন। নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর তিনি প্রশাসনের ডিওজিই পরামর্শক দপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ক্ষতির মুখে পড়ে। এমনকি টেসলার বিক্রয়কেন্দ্রে হামলার ঘটনাও ঘটে। ট্রাম্পের সঙ্গে নীতিগত বিরোধ এবং রাজনৈতিক চাপের মুখে তিনি ৩১ মে পদত্যাগ করেন। এটি ছিল বাজেট কমানোর জন্য গঠিত দলের নেতৃত্বের পদ।

প্রশাসন ছাড়ার পর এটি মাস্কের প্রথম প্রকাশ্য ট্রাম্পবিরোধী অবস্থান। ট্রাম্প প্রশাসনের মুখপাত্র জানান, প্রেসিডেন্ট মাস্কের অবস্থান সম্পর্কে অবগত। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট জানান, সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প এই বিল ‘বিগ বিউটিফুল অ্যাক্ট’ হিসেবে সামনে এগিয়ে নিতে চান।

বিলটির বিতর্কিত অংশগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালের করছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো, ঋণসীমা বৃদ্ধি, অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নে অর্থ বরাদ্দ এবং নির্বাচনী স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় খরচ যেগুলো ‘পোর্ক ব্যারেল’ ব্যয় নামে পরিচিত।

বিলটি ঘিরে রিপাবলিকানদের মধ্যেও মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। কেন্টাকির সিনেটর রান্ড পল স্পষ্ট জানিয়েছেন, ঋণসীমা বৃদ্ধির অংশ থাকলে তিনি বিলটির বিরোধিতা করবেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, ‘কেন্টাকির মানুষ পলকে সহ্য করতে পারে না।’

এদিকে অ্যাক্সিয়স জানায়, ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ মাস্কের স্টারলিংক সেবা গ্রহণ না করায় তিনি অসন্তুষ্ট। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, সরকারি পদে থাকা কারও প্রতিষ্ঠানের সেবা নেওয়া স্বার্থের সংঘাত তৈরি করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে সিনেট নেতা চাক শুমার বলেন, ‘মাস্ক যিনি নিজে প্রক্রিয়ার অংশ ছিলেন, তিনিই যখন বলছেন বিলটি খারাপ তাহলে আসলে সেটি কতটা ভয়াবহ, তা সহজেই অনুমেয়।’

ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা বিলটি ৪ জুলাইয়ের আগেই পাস করতে চান। তবে মাস্ক সতর্ক করে বলেন, ‘যারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তারা আগামী নির্বাচনে প্রত্যাখ্যাত হবেন।’