ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

গাজার ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের চালানো হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

হামাস পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, গাজার আল-আলম চত্বরে ট্যাঙ্ক, ড্রোন ও হেলিকপ্টার থেকে বেসামরিক মানুষদের ওপর সরাসরি গুলি চালানো হয়। এই চত্বরটি একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ত্রাণ সংগ্রহ করতে আসা মানুষদের লক্ষ্য করেই হামলাটি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ঘটনার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, নির্ধারিত রুট থেকে সরে এসে সেনাদের দিকে এগিয়ে যাওয়া কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, যেকোনো ধরনের সন্দেহের মধ্যেও বেসামরিক মানুষদের জীবন রক্ষাই আন্তর্জাতিক আইনে অগ্রাধিকার পায়।

এর আগে রোববার একই রকমের ঘটনায় বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হন। সে সময়ও ইসরায়েল দায় অস্বীকার করে জানায়, তারা গুলি চালায়নি। অথচ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, ওই ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছিলেন।

মঙ্গলবার ভোরে নতুন করে চালানো হামলার পর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের পরিচালক ড. আতেফ আল-হুত জানান, হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং এর মধ্যে ২৪ জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।

গাজা উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ত্রাণ নেওয়ার জন্য জড়ো হওয়া অসহায় মানুষদের ওপর হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। কিন্তু সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজার ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭

আপডেট সময় ১১:২৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের চালানো হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

হামাস পরিচালিত গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, গাজার আল-আলম চত্বরে ট্যাঙ্ক, ড্রোন ও হেলিকপ্টার থেকে বেসামরিক মানুষদের ওপর সরাসরি গুলি চালানো হয়। এই চত্বরটি একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ত্রাণ সংগ্রহ করতে আসা মানুষদের লক্ষ্য করেই হামলাটি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ঘটনার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, নির্ধারিত রুট থেকে সরে এসে সেনাদের দিকে এগিয়ে যাওয়া কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, যেকোনো ধরনের সন্দেহের মধ্যেও বেসামরিক মানুষদের জীবন রক্ষাই আন্তর্জাতিক আইনে অগ্রাধিকার পায়।

এর আগে রোববার একই রকমের ঘটনায় বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হন। সে সময়ও ইসরায়েল দায় অস্বীকার করে জানায়, তারা গুলি চালায়নি। অথচ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, ওই ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছিলেন।

মঙ্গলবার ভোরে নতুন করে চালানো হামলার পর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের পরিচালক ড. আতেফ আল-হুত জানান, হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে এবং এর মধ্যে ২৪ জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।

গাজা উপত্যকায় মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ত্রাণ নেওয়ার জন্য জড়ো হওয়া অসহায় মানুষদের ওপর হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। কিন্তু সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ।