০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে সিনারকে হারিয়ে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ ডিএমপির অভ্যন্তরীণ রদবদল: ৫ কর্মকর্তার নতুন দায়িত্ব নির্বাচনকালে তথ্যে প্রবাহে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া হবে না: মাহফুজ আলম পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব মৌলভীবাজারে বাগানের কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ভোটের পরিবেশ শতভাগ অনুকূলে : ইসি আনোয়ারুল বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের মন্ত্রিসভার পরিকল্পনার ধাপসমূহ ২০২৬ সালে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০ সম্মেলন: ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

ঈদের পর দেশজুড়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সচিবালয় কর্মচারীদের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 31

ছবি সংগৃহীত

 

সরকারি চাকরি আইন সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা। সোমবার (২ জুন) সচিবালয়ের বাদামতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলমের দপ্তরে স্মারকলিপি দেন ফোরামের নেতারা। তবে ওই সময় দুই উপদেষ্টাই দপ্তরে অনুপস্থিত ছিলেন।

নেতারা জানান, আগামীকাল (মঙ্গলবার) অর্থ উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, “এই অধ্যাদেশ যদি বাতিল না করা হয়, তাহলে ঈদুল আজহার পর আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। শুধু সচিবালয় নয়, সারাদেশের ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

সমাবেশে ফোরামের নেতারা বলেন, এই অধ্যাদেশ কোনোভাবেই কর্মচারীবান্ধব নয় এবং এতে দুর্নীতি, ঘুষ, মানিলন্ডারিং বা নারী অধিকার নিয়ে কোনো স্পষ্ট বিধান নেই। তারা প্রশ্ন তোলেন “দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা করা নাকি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের রক্ষা করাই সরকারের উদ্দেশ্য?”

এ সময় নেতারা অভিযোগ করেন, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাবি মেনে নেওয়া হলেও ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীর যৌক্তিক দাবির প্রতি সরকার উদাসীন।” তারা বলেন, “আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের মতামত ও স্বার্থের প্রতিফলন থাকা উচিত। সবাইকে নিয়ে যে আইন করা হবে, তা যেন সবার জন্য সহনশীল হয়।”

ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এই আন্দোলনের সঙ্গে বাজেট বা কোরবানির কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা ঈদের আগে কোনো কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছি না। তবে ঈদের পর দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হবে।”

অবিলম্বে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ ও অধ্যাদেশ বাতিলের আহ্বান জানান বক্তারা। আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ কী হবে তা নির্ভর করছে সরকারের অবস্থানের ওপর।

এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সচিবালয় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকারি কর্মচারীরা জানান, আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদের পর দেশজুড়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সচিবালয় কর্মচারীদের

আপডেট সময় ০৭:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

সরকারি চাকরি আইন সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা। সোমবার (২ জুন) সচিবালয়ের বাদামতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলমের দপ্তরে স্মারকলিপি দেন ফোরামের নেতারা। তবে ওই সময় দুই উপদেষ্টাই দপ্তরে অনুপস্থিত ছিলেন।

নেতারা জানান, আগামীকাল (মঙ্গলবার) অর্থ উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে। বিক্ষোভকারীরা বলেন, “এই অধ্যাদেশ যদি বাতিল না করা হয়, তাহলে ঈদুল আজহার পর আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। শুধু সচিবালয় নয়, সারাদেশের ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

সমাবেশে ফোরামের নেতারা বলেন, এই অধ্যাদেশ কোনোভাবেই কর্মচারীবান্ধব নয় এবং এতে দুর্নীতি, ঘুষ, মানিলন্ডারিং বা নারী অধিকার নিয়ে কোনো স্পষ্ট বিধান নেই। তারা প্রশ্ন তোলেন “দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা করা নাকি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের রক্ষা করাই সরকারের উদ্দেশ্য?”

এ সময় নেতারা অভিযোগ করেন, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দাবি মেনে নেওয়া হলেও ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারীর যৌক্তিক দাবির প্রতি সরকার উদাসীন।” তারা বলেন, “আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে অংশীজনদের মতামত ও স্বার্থের প্রতিফলন থাকা উচিত। সবাইকে নিয়ে যে আইন করা হবে, তা যেন সবার জন্য সহনশীল হয়।”

ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, “এই আন্দোলনের সঙ্গে বাজেট বা কোরবানির কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা ঈদের আগে কোনো কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছি না। তবে ঈদের পর দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হবে।”

অবিলম্বে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ ও অধ্যাদেশ বাতিলের আহ্বান জানান বক্তারা। আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ কী হবে তা নির্ভর করছে সরকারের অবস্থানের ওপর।

এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সচিবালয় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকারি কর্মচারীরা জানান, আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।