১১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত পেতে ইসির সঙ্গে আলোচনায় যাচ্ছে জামায়াত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 35

ছবি সংগৃহীত

 

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলীয় নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে। এ উদ্দেশ্যে দলের একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল সোমবার (২ জুন) দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিইসির একান্ত সচিব মো. আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “জামায়াতের একজন প্রতিনিধি ফোনে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন। সিইসি তাদের সোমবার দুপুর ১২টার সময় দিয়েছেন। প্রতিনিধি দলে চার থেকে পাঁচজন সদস্য থাকতে পারেন।”

এর আগে, ২০১৩ সালে হাইকোর্টের এক রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সেই রায় বাতিল করে দলটির নিবন্ধন ফেরতের পথ সুগম করেছে।

রায়ের পর জামায়াতপন্থী আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা মামলার শর্ট অর্ডার চেয়েছি। আশা করছি সোমবারের মধ্যেই তা হাতে পাব। এরপর আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এই শর্ট অর্ডার উপস্থাপন করব। আমাদের প্রত্যাশা, কমিশন দ্রুততম সময়ে জামায়াতের নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরিয়ে দেবে।”

জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে নিবন্ধনহীন দল হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দলটি নিবন্ধন পুনঃপ্রাপ্তির জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে আসছিল। সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ রায় সেই লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও প্রতীক থাকা অপরিহার্য। জামায়াতের প্রতিনিধিরা সোমবারের আলোচনায় এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ এই বৈঠক রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, সামনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিবন্ধন ফিরে পাওয়া জামায়াতের জন্য রাজনৈতিকভাবে বড় একটি ধাপ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত পেতে ইসির সঙ্গে আলোচনায় যাচ্ছে জামায়াত

আপডেট সময় ১১:২৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলীয় নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে। এ উদ্দেশ্যে দলের একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল সোমবার (২ জুন) দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিইসির একান্ত সচিব মো. আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, “জামায়াতের একজন প্রতিনিধি ফোনে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন। সিইসি তাদের সোমবার দুপুর ১২টার সময় দিয়েছেন। প্রতিনিধি দলে চার থেকে পাঁচজন সদস্য থাকতে পারেন।”

এর আগে, ২০১৩ সালে হাইকোর্টের এক রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তবে সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সেই রায় বাতিল করে দলটির নিবন্ধন ফেরতের পথ সুগম করেছে।

রায়ের পর জামায়াতপন্থী আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা মামলার শর্ট অর্ডার চেয়েছি। আশা করছি সোমবারের মধ্যেই তা হাতে পাব। এরপর আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এই শর্ট অর্ডার উপস্থাপন করব। আমাদের প্রত্যাশা, কমিশন দ্রুততম সময়ে জামায়াতের নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরিয়ে দেবে।”

জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে নিবন্ধনহীন দল হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দলটি নিবন্ধন পুনঃপ্রাপ্তির জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে আসছিল। সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ রায় সেই লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ও প্রতীক থাকা অপরিহার্য। জামায়াতের প্রতিনিধিরা সোমবারের আলোচনায় এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ এই বৈঠক রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, সামনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিবন্ধন ফিরে পাওয়া জামায়াতের জন্য রাজনৈতিকভাবে বড় একটি ধাপ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।