১১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

বর্ষার মৌসুমে যে সমস্ত রোগের ঝুঁকি বাড়ে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 205

ছবি সংগৃহীত

 

 

বাংলাদেশে বর্ষাকাল শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্যই নয়, সঙ্গে নিয়ে আসে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধির ঝুঁকিও। অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও আর্দ্র আবহাওয়া এই মৌসুমে রোগজীবাণুর বিস্তারকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। ফলে এ সময় কিছু নির্দিষ্ট রোগের প্রকোপ দেখা যায় যা শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সীদের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

১. ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া: বর্ষাকালে সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ংকর রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। এই রোগ দুটি মশাবাহিত এবং সাধারণত এডিস মশা দ্বারা ছড়ায়, যেগুলো জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। বর্ষায় বাড়ির চারপাশে জমে থাকা পানি যেমন ফুলদানি, ব্যবহৃত টায়ার, খোলা ড্রাম বা ডাবের খোলস—এইসব স্থানে মশার প্রজনন বাড়ে।

২. টাইফয়েড ও পানিবাহিত রোগ: বর্ষাকালে নোংরা পানি, ড্রেনের জল ও বৃষ্টির পানি একত্র হয়ে খাবার ও পানির উৎসকে দূষিত করে। ফলে টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া ও হেপাটাইটিস ‘এ’–এর মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অপরিষ্কার হাতে খাওয়া, রাস্তার খাবার খাওয়া কিংবা বিশুদ্ধ পানি না খাওয়ার কারণে এইসব রোগ সহজেই ছড়াতে পারে।

৩. চর্মরোগ ও ছত্রাক সংক্রমণ: আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বকে ঘাম জমে এবং শরীরের ভাঁজে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বর্ষায় অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ ভেজা জামাকাপড়ে থাকার ফলে চর্মরোগ, খোসপাঁচড়া ও র‍্যাশের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

৪. শ্বাসনালীজনিত সমস্যা: বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং ঠান্ডা-কাশির সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে যাদের আগেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই সময়টা বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।

৫. জ্বর ও ভাইরাল সংক্রমণ: বর্ষাকালে তাপমাত্রা ওঠানামা করে এবং বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে সাধারণ ভাইরাল ফ্লু, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সংক্রমণ সহজে ছড়িয়ে পড়ে।

সতর্কতা ও প্রতিকার:

* বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার ও মশামুক্ত রাখা

* বিশুদ্ধ পানি পান করা ও খাবার ঢেকে রাখা

* ভেজা জামাকাপড় না পরিধান করা

* শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা

* প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

বর্ষা যেমন প্রকৃতিকে প্রাণ দেয়, তেমনি অসাবধানতা থাকলে শরীরের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে। তাই এই মৌসুমে স্বাস্থ্য সচেতন থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্ষার মৌসুমে যে সমস্ত রোগের ঝুঁকি বাড়ে

আপডেট সময় ১২:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

 

বাংলাদেশে বর্ষাকাল শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্যই নয়, সঙ্গে নিয়ে আসে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধির ঝুঁকিও। অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও আর্দ্র আবহাওয়া এই মৌসুমে রোগজীবাণুর বিস্তারকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। ফলে এ সময় কিছু নির্দিষ্ট রোগের প্রকোপ দেখা যায় যা শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সীদের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

১. ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া: বর্ষাকালে সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ংকর রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া। এই রোগ দুটি মশাবাহিত এবং সাধারণত এডিস মশা দ্বারা ছড়ায়, যেগুলো জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্মায়। বর্ষায় বাড়ির চারপাশে জমে থাকা পানি যেমন ফুলদানি, ব্যবহৃত টায়ার, খোলা ড্রাম বা ডাবের খোলস—এইসব স্থানে মশার প্রজনন বাড়ে।

২. টাইফয়েড ও পানিবাহিত রোগ: বর্ষাকালে নোংরা পানি, ড্রেনের জল ও বৃষ্টির পানি একত্র হয়ে খাবার ও পানির উৎসকে দূষিত করে। ফলে টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া ও হেপাটাইটিস ‘এ’–এর মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। অপরিষ্কার হাতে খাওয়া, রাস্তার খাবার খাওয়া কিংবা বিশুদ্ধ পানি না খাওয়ার কারণে এইসব রোগ সহজেই ছড়াতে পারে।

৩. চর্মরোগ ও ছত্রাক সংক্রমণ: আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বকে ঘাম জমে এবং শরীরের ভাঁজে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বর্ষায় অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ ভেজা জামাকাপড়ে থাকার ফলে চর্মরোগ, খোসপাঁচড়া ও র‍্যাশের মতো সমস্যা দেখা দেয়।

৪. শ্বাসনালীজনিত সমস্যা: বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং ঠান্ডা-কাশির সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে যাদের আগেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই সময়টা বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।

৫. জ্বর ও ভাইরাল সংক্রমণ: বর্ষাকালে তাপমাত্রা ওঠানামা করে এবং বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে সাধারণ ভাইরাল ফ্লু, জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সংক্রমণ সহজে ছড়িয়ে পড়ে।

সতর্কতা ও প্রতিকার:

* বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার ও মশামুক্ত রাখা

* বিশুদ্ধ পানি পান করা ও খাবার ঢেকে রাখা

* ভেজা জামাকাপড় না পরিধান করা

* শিশুদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা

* প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

বর্ষা যেমন প্রকৃতিকে প্রাণ দেয়, তেমনি অসাবধানতা থাকলে শরীরের জন্য বিপজ্জনকও হতে পারে। তাই এই মৌসুমে স্বাস্থ্য সচেতন থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।