০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
কেনিয়ায় ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১২ জনের সবাই নিহত হওয়ার আশঙ্কা ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ — এআই-চালিত “Grokipedia” চালু বিপুল সংখ্যক জামিন দেওয়ায় ৩ বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার।

ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / 115

ছবি সংগৃহীত

 

 

ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা করার দায়ে আসাদ শেখ ওরফে বাচ্চু শেখ (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

রায় ঘোষণার সময় একমাত্র আসামি আসাদ শেখ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে পুলিশি পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই মাসে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ভাটিকান্দি গ্রামের মৃত মতিয়ার শেখের মেয়ে শান্তার সঙ্গে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কানাই মাতুব্বরের বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছাত্তার শেখের ছেলে আসাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এই দম্পতি ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দিরাজতুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের ইদ্রিসের অ্যাগ্রো ফার্মে কাজ করতেন। শান্তা সেখানে শ্রমিক এবং আসাদ ছিলেন সুপারভাইজার। তাঁরা ফার্মের একটি আবাসিক কক্ষে বসবাস করতেন।

২০২২ সালের ২৬ মে বেলা ১১টার দিকে সেই কক্ষ থেকেই শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনার পরপরই আসাদ পলাতক হন।

দুই দিন পর, ২৮ মে শান্তার মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে আসাদ শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া বলেন, “আদালতের এ রায় একটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত। এর মাধ্যমে সমাজে যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতন ও হত্যার প্রবণতা কমবে বলে আমরা আশা করি। এ রায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

জানা গেছে, নিহত শান্তা ছিলেন আসাদের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগেও আসাদের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই ঘটনায় রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আরেকটি হত্যা মামলা বিচারাধীন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফরিদপুরে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৫:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

 

 

ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা করার দায়ে আসাদ শেখ ওরফে বাচ্চু শেখ (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

রায় ঘোষণার সময় একমাত্র আসামি আসাদ শেখ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে পুলিশি পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই মাসে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ভাটিকান্দি গ্রামের মৃত মতিয়ার শেখের মেয়ে শান্তার সঙ্গে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার কানাই মাতুব্বরের বাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছাত্তার শেখের ছেলে আসাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এই দম্পতি ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দিরাজতুল্লা মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের ইদ্রিসের অ্যাগ্রো ফার্মে কাজ করতেন। শান্তা সেখানে শ্রমিক এবং আসাদ ছিলেন সুপারভাইজার। তাঁরা ফার্মের একটি আবাসিক কক্ষে বসবাস করতেন।

২০২২ সালের ২৬ মে বেলা ১১টার দিকে সেই কক্ষ থেকেই শান্তার মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনার পরপরই আসাদ পলাতক হন।

দুই দিন পর, ২৮ মে শান্তার মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে আসাদ শেখের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এবং তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া বলেন, “আদালতের এ রায় একটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত। এর মাধ্যমে সমাজে যৌতুকের দাবিতে নারী নির্যাতন ও হত্যার প্রবণতা কমবে বলে আমরা আশা করি। এ রায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

জানা গেছে, নিহত শান্তা ছিলেন আসাদের তৃতীয় স্ত্রী। এর আগেও আসাদের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই ঘটনায় রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আরেকটি হত্যা মামলা বিচারাধীন।