ঢাকা ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আগামী জুনে নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন অধ্যাপক ইউনূস পাকিস্তান সফরে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে আজ মাঠে নামছে টাইগাররা ৩ মাসে নির্বাচন সম্ভব, ১০ মাসেও দেয়া হচ্ছে না নির্বাচন: তারেক রহমান দেশের আকাশে জিলহজের চাঁদ দেখা গেছে, ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নয়: বিমানবাহিনী প্রধান স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি: নারী ও শিশুসহ নিহত ৭ ফিলিস্তিনে কলম্বিয়ার প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ: মধ্যপ্রাচ্য সংকটে নতুন কূটনৈতিক মাত্রা টেকনাফে যৌথবাহিনীর অভিযান, ১২ কোটির ইয়াবা ও আইস উদ্ধার সুব্রত বাইনসহ চারজন ১৪ দিনের রিমান্ডে সরকারের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পচন ধরেছে: বিএনপির মহাসমাবেশে মির্জা আব্বাস

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ চাকরিচ্যুত কর্মীকে চাকরি ফেরত দেয়ার নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

আবারও চাকরি ফিরে পাচ্ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আদেশ দেন।

বিগত কয়েক দশকে টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই মামলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুরুতে হেরে যায়। পরে রিভিউয়ের আবেদন গৃহীত হলে আপিল বিভাগে মামলাটির শুনানি হয়। আজকের রায়ে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়, যা তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাল।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে উচ্চ আদালতের নির্দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ২০০৩ ও ২০০৪ সালে নিয়োগ পান এবং সকল প্রক্রিয়া চাকরিবিধি মেনে সম্পন্ন হয়েছিল বলে জানা গেছে। দীর্ঘ ৯ বছর পর, ২০১১ সালে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে আদালতকে প্রভাবিত করে তাদের নিয়োগকে অবৈধ প্রমাণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ওই বছর তাদের চাকরি বাতিল করা হয়।

চাকরি হারানোর পর অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন শুরু করেন। চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে কয়েকজনের। বাকিরা অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারা নতুন করে আশার আলো দেখতে পান। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর চাকরি ফিরে পেতে আন্দোলনে নামেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাদের পাশে দাঁড়ায়।

৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত হওয়া এসব কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল সংক্রান্ত রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে উপস্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৩১ আগস্ট সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া হাইকোর্টে রিট দায়ের করে এসব নিয়োগ বাতিলের আবেদন করেন। তবে ২০০৬ সালের ২২ আগস্ট হাইকোর্ট রিটটি খারিজ করে। পরে গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করলে আদালত কর্মচারীদের চাকরি বাতিলের রায় দেয়।

দীর্ঘ প্রায় ২১ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর আজকের রায় এসব কর্মচারীর জীবনে নতুন আশার সূর্য হয়ে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ চাকরিচ্যুত কর্মীকে চাকরি ফেরত দেয়ার নির্দেশ

আপডেট সময় ০১:০১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

 

আবারও চাকরি ফিরে পাচ্ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আদেশ দেন।

বিগত কয়েক দশকে টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই মামলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুরুতে হেরে যায়। পরে রিভিউয়ের আবেদন গৃহীত হলে আপিল বিভাগে মামলাটির শুনানি হয়। আজকের রায়ে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়, যা তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটাল।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে উচ্চ আদালতের নির্দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্ত এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ২০০৩ ও ২০০৪ সালে নিয়োগ পান এবং সকল প্রক্রিয়া চাকরিবিধি মেনে সম্পন্ন হয়েছিল বলে জানা গেছে। দীর্ঘ ৯ বছর পর, ২০১১ সালে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে আদালতকে প্রভাবিত করে তাদের নিয়োগকে অবৈধ প্রমাণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ওই বছর তাদের চাকরি বাতিল করা হয়।

চাকরি হারানোর পর অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন শুরু করেন। চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে কয়েকজনের। বাকিরা অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারা নতুন করে আশার আলো দেখতে পান। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর চাকরি ফিরে পেতে আন্দোলনে নামেন চাকরিচ্যুত কর্মীরা। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাদের পাশে দাঁড়ায়।

৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চাকরিচ্যুত হওয়া এসব কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল সংক্রান্ত রিভিউ আবেদন আপিল বিভাগে উপস্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ৩১ আগস্ট সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া হাইকোর্টে রিট দায়ের করে এসব নিয়োগ বাতিলের আবেদন করেন। তবে ২০০৬ সালের ২২ আগস্ট হাইকোর্ট রিটটি খারিজ করে। পরে গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করলে আদালত কর্মচারীদের চাকরি বাতিলের রায় দেয়।

দীর্ঘ প্রায় ২১ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর আজকের রায় এসব কর্মচারীর জীবনে নতুন আশার সূর্য হয়ে এসেছে।